সিন্ধু শুধুমাত্র দ্বিতীয় ভারতীয় ক্রীড়াবিদ যিনি ব্যক্তিগত ইভেন্টে ২টি অলিম্পিক পদক জিতেছেন। এর আগে এটি হাসিল করেছিলেন ভারতের কুস্তিগির ও খুনের মামলায় জেলে থাকা সুশীল কুমার। তিনি পর পর দুই অলিম্পিকে পদক জিতেছিলেন ভারতের হয়। ২০০৮ সালে বেজিংয়ে ও ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ ও রুপো জিতেছিলেন সুশীল। আর এই দুটি পদক জিতেই এবার নিজের খেলার বিষয়ে কথা বললেন পিভি সিন্ধু। একই সঙ্গে তাঁকে তৈরি করেছেন কোচ পুল্লেলা গোপীচাঁদ। আর সেই গোপীচাঁদই এবার তাঁর প্রিয় ছাত্রী সিন্ধুকে অভিনন্দন জানালেন।
চাপ ছিল তীব্র: সিন্ধু
ব্রোঞ্জ পদক জেতার কিছুক্ষণ পর পিভি সিন্ধু এবার নিজের জয় নিয়ে মুখ খুললেন। পিভি সিন্ধু নিজের জয় নিয়ে বলেন, টোকিও অলিম্পিকে খেলা আরও কঠিন এবং রিও অলিম্পিকে তাঁর রুপো জয়ের চেয়ে ব্রোঞ্জ মেডেল পাওয়া কঠিন। এমনটাই এবার জানালেন ভারতের ব্রোঞ্জ জয়ী শাটলার।
সিন্ধু নিজেই জোর দিয়েছিলেন যে ২০১৬ সালে রিওতে অলিম্পিকের রুপো জয়ের আশা অনেকেই করেননি। তবুও তিনি দেশকে রুপো দিয়েছেন। অন্যদিকে, এবার সিন্ধুর থেকে সোনার আশা থাকলেও, সেই লক্ষ্যে একটুর জন্য পৌঁছতে পারেননি সিন্ধু। তবে দেশকে পদক এনে দিয়েছেন সিন্ধু। মীরাবাই চনুর পর টোকিও অলিম্পিকে দ্বিতীয় পদক জয় সিন্ধুর।
সিন্ধু বলেন, "এটা আমাকে সত্যিই আনন্দিত করে কারণ আমি এত বছর ধরে কঠোর পরিশ্রম করেছি। আমার মধ্যে অনেক আবেগ ছিল - আমার কি খুশি হওয়া উচিত যে আমি ব্রোঞ্জ জিতেছি বা দুঃখিত যে আমি ফাইনালে খেলার সুযোগ হারিয়েছি? কিন্তু সামগ্রিকভাবে, এই এক ম্যাচের জন্য আমাকে আমার আবেগ বন্ধ করতে হয়েছিল এবং এটি আমার সেরা, আমার সবটুকু এবং আবেগ সম্পর্কে ভাবতে হয়েছিল। আমি সত্যিই খুশি এবং আমি মনে করি আমি সত্যিই ভাল করেছি। আমার দেশকে পদক এনে দিয়েছি।"
সিন্ধুর উচ্চতার ব়্যাঙ্কিং হি বিংজিয়াও এবং স্ক্রিপ্টের ইতিহাসকে হারাতে মাত্র ৫৩ মিনিটের প্রয়োজন ছিল। সিন্ধু তার আক্রমনাত্মক সেরা ছিল, একই সঙ্গে তিনি অনেক বেশি ফোকাসে ছিলেন।
শুভেচ্ছা গোপীচাঁদের
গোপী বলেন, সিন্ধুকে আমার তরফ থেকে অনেক অনেক অভিনন্দন। দ্বিতীয় মেডেল ও ভারতকে এনে দিয়েছে। তাঁর দলের সাপোর্ট স্টাফ, কোচ সহ সবাই খুব ভালো কাজ করেছে। তাই এই সাফল্য। ও অনবদ্য পারফরম্যান্স করেছে। আমি সাই, স্পোর্টস মন্ত্রক ও তেলেঙ্গানা সরকারকেও অনেক ধন্যবাদ।