ভারতের অন্যতম টেনিস সুন্দরী সানিয়া মির্জা। কেরিয়ারের প্রথম থেকেই টেনিস দুনিয়ায় ছাপ ফেলেছেন ভারতের, হায়দরাবাদী মেয়ে সানিয়া। তাঁর ঝুলিতে আছে ছটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম টুর্নামেন্ট। কেরিয়ারে ভালো সময় কাটিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে কাটিয়েছেন খারাপ সময়টাও। খারাপ ভালোর মাঝে আজ অন্যতম সফল ভারতীয় টেনিস তারকা সানিয়া। তবে ২০০৮ সালে বেজিং অলিম্পিকে চোটের কারণে না খেলতে পারাটা তাঁর জীবনের অন্যতম অভিশপ্ত একটা দিন ছিল বলে জানিয়েছেন টেনিস সুন্দরী।
একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলছিলেন, 'একটা ঘটনা আমার জীবনের সব থেকে খারাপ ঘটেছিল। আমি ৩ থেকে ৪ মাস সেটার বিষণ্ণতা কাটিয়ে উঠতে পারিনি। আমার খেলোয়াড় জীবনের সব থেকে খারাপ সময় ছিল হয়তো। ২০০৮-র বেজিং অলিম্পিক্স থেকে ছিটকে যাবো তখন ভাবতেও পারিনি। আমার হাতে একটা চোট ছিল। আমি তিন চার মাস নিজেকে সামলাতে পারছিলাম না। আমি ভেবেছিলাম সব ঠিক হয়ে যাবে। তবে ব্যাপারটা সহজ ছিল না। সারাদিন কোনও কারণ ছাড়াই কাঁদতে হতো। এক মাস ধরে খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলাম।'
নিজের কেরিয়ারে বেশ উচ্চতায় চলছিলেন সানিয়া মির্জা। তবে ২০০৮ সালের ঘটনা তাঁকে বেশখানিকটা ব্যাকফুটে নিয়ে চলে যায়। তবে সেখান থেকেও কামব্যাক করেন সানিয়া। সানিয়া আরও বলছিলেন, 'আমি ভেবেছিলাম আমি হয়তো আর কোনওদিনও টেনিস খেলতেই পারব না। ২০ বছর বয়সী কারুর সঙ্গে যদি এমনটা হয়। সেটা খুবই খারাপ। এটাই ভেবে খারাপ লেগেছিল, যখন আমি এতটা ভালো করছি তখনই আমার সুযোগ হচ্ছে না খেলার জন্য। তখন আমার হাতের অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে আমি হাত নারাতে পারছিলাম না।'
তবে সানিয়ার জীবনে এমন একটা সময় আসলেও তিনি নিজেকে পরবর্তীতে প্রস্তুত করেছেন আরও কঠিন ভাবে। শুধু তাই নয়, তিনি তারপরও জিতেছেন কমনওয়েলথে মেডেল। আর সেই নিয়ে সানিয়া আরও বলছিলেন, 'সেই খারাপ সময় আমার পরিবার আমার পাশে ছিল। দেশের জন্য কিছু করব এমনটাই আমার ইচ্ছা ছিল। আর তারপর আমি কমনওয়েলথে মেডেল জিতেছিলাম।'
আসন্ন টোকিও অলিম্পিকে নামতে চলেছেন সানিয়া মির্জা, এমনটাই জানা গিয়েছে। ডবলস বিভাগে নামবেন তিনি। সেই জন্যই এবার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভারতের টেনিস সুন্দরী।