২০০৭ সালে কোপা আমেরিকায় (Copa America) প্রথম গোল করেন লিওনেল মেসি (Lionel Messi)। দিনটা ছিল ৯ জুলাই। আর সেই বছরই ১৩ জুলাই বার্সেলোনায় (Barcelona) জন্ম হয় লামিনে ইয়ামালের (Lamine Yamal)। এরপর বার্সেলোনায় ছোট্ট ইয়ামালের সঙ্গে ছবি তোলেন মেসি। সেই ছোট্ট ইয়ামাল যে একদিন বিশ্ব ফুটবলে এমন তাক লাগাবে তা বোধহয় একমাত্র আর্জেন্টিনার (Argentina) সুপারস্টারই বুঝতে পেরেছিলেন। আজ দেশের জার্সিতে গোল পেয়েছেন দুই জনেই। রেকর্ডও গড়েছেন এই দুই ফুটবলার।
পেলের রেকর্ড ভাঙল ইয়ামাল
সর্ব কনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে দেশের হয়ে কোনও বড় টুর্নামেন্টের সেমি ফাইনালে নামার রেকর্ড ছিল ব্রাজিলের (Brazil) পেলের (Pele)। এবার সেই রেকর্ড ভেঙে ফেললেন স্পেনের (Spain) এই ফুটবলার শুধু তাই নয়, দুর্দান্ত গোল করে দলকে জিতিয়ে ইউরো কাপের (Euro Cup 2024) ফাইনালেও তুললেন তিনি। ইউরো সেমি ফাইনালে বিশ্বকাপ রানার্স ফ্রান্সের (France) বিরুদ্ধে ১ গোলে পিছিয়ে পড়েছিল স্পেন। সেখান থেকেই দলকে টেনে তোলেন ১৬ বছরের তরুণ। মাঝ বরাবর বল পেয়ে বাঁ দিকে কাট করে। শট করে ইয়ামাল। গোল পোস্টের উপরের বাম কোণ দিয়ে বল ঢুকে যায় গোলে। ১০২ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে মারা সেই শট ফরাসি গোলকিপার ম্যাগনানের কাছে কোনও সুযোগ ছিল না। এরপর জয়সূচক গোল করেন ড্যানি ওলমো। প্রথম গোল খাওয়ার চার মিনিটের মধ্যেই জয়সূচক গোল পেয়ে যায় স্পেন। জেসুস নাভাসের কাছ থেকে বল পান ড্যানি অলমো। বল নিজের নিয়ন্ত্রণে রেখে গোল লক্ষ্য করে শট মারেন। বল বাঁচানোর চেষ্টা করেন ফ্রান্সের জুলস কুন্ডে। কিন্তু বল তাঁর পায়ে লেগে গোলে ঢুকে যায়। প্রথমে কুন্ডের আত্মঘাতী গোল দিলেও পরে অলমোর নামেই সেই গোল দেওয়া হয়। ০-১ পিছিয়ে থেকে চার মিনিটের ঝড়ে ২-১ এগিয়ে যায় স্পেন।
গোল করে রেকর্ড গড়লেন মেসিও
সপ্তমবার কোপা আমেরিকা টুর্নামেন্টে খেলছেন তিনি। যে নজির বিশ্বের আর কোনও ফুটবলারের নেই। তবে ভক্ত-অনুরাগীদের আক্ষেপ ছিল, এবারের কোপা আমেরিকায় (Copa America 2024) এখনও পর্যন্ত কোনও গোল পাননি প্রিয় নায়ক। তবে এদিন গোল করে তিনি ভেঙে দিলেন ইরানের আলি দাইয়ের রেকর্ড। আন্তর্জাতিক ফুটবলে আলি দাইয়ের ১০৮ গোল রয়েছে। তিনিই ছিলেন বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা। সেমিফাইনালে গোল করতেই মেসির গোলসংখ্যা দাঁড়াল ১০৯। তিনিই এখন বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা। ১৩০ গোল করে শীর্ষে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো।
কীভাবে গোল পেলেন মেসি?
কানাডা বক্সের মধ্যে বল পেয়ে আলতো টোকায় গোলকিপারকে হার মানান মেসি। ম্যাচের বয়স তখন ৫১ মিনিট। কোপা আমেরিকায় ১৪তম গোল মেসির।