scorecardresearch
 

Sunil Chhetri Retirement: রোনাল্ডো-মেসির মতোই উজ্জ্বল, কুয়েত ম্যাচ খেলেই অবসর সুনীল ছেত্রীর

২০০৫ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শুরু করেছিলেন কেরিয়ার। আত্মপ্রকাশেই পেয়েছিলেন গোল। তারপর কেটে গিয়েছে ১৯ বছর। এই সময়ের মধ্যে একের পর এক গোল করে ভারতীয় দলকে জিতিয়েছেন একাধিক ম্যাচ, টুর্নামেন্ট। এবার সেই যাত্রা শেষ হতে চলেছে। আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নিতে চলেছেন সুনীল ছেত্রী (Sunil Chhetri)। 

Advertisement
Sunil Chhetri Sunil Chhetri

২০০৫ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শুরু করেছিলেন কেরিয়ার। আত্মপ্রকাশেই পেয়েছিলেন গোল। তারপর কেটে গিয়েছে ১৯ বছর। এই সময়ের মধ্যে একের পর এক গোল করে ভারতীয় দলকে জিতিয়েছেন একাধিক ম্যাচ, টুর্নামেন্ট। এবার সেই যাত্রা শেষ হতে চলেছে। আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নিতে চলেছেন সুনীল ছেত্রী (Sunil Chhetri)। 

৩৯ বছর বয়সী এই তারকা ভারতীয় দলের হয়ে সর্বকালের সবচেয়ে বেশি গোল করার রেকর্ড গড়েছেন। জাতীয় দলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা এই তারকার অবসরের সিদ্ধান্তে ভারতীয় ফুটবল মহলে আলোড়ন পরে গিয়েছে। ২০০৯ এবং ২০১২ সালে ভারতের হয়ে আরও দু'টি নেহেরু কাপ জিতেছেন। পরের বছর, ছেত্রী এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ ফাইনালে হ্যাটট্রিক করেন, সেই ম্যাচে ভারত তাজিকিস্তানকে ৪-১ গোলে হারায়। তিনি ২০১১, ২০১৫, ২০২১ এবং ২০২৩ সালে SAFF চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা জেতান ভারতকে।

দিল্লির সিটি ক্লাব থেকে উঠে এসেছিলেন সুনীল। তারপর তিনি চলে আসেন কলকাতায়। মোহনবাগানে তিনি যখন সই করেন তখন সবুজ-মেরুনের কোচ সুব্রত ভট্টাচার্য। পরে তাঁর মেয়ে সোনমকে বিয়ে করেছেন ভারতীয় ফুটবলের পোস্টারবয়। সেখান থেকে ইস্টবেঙ্গলের হয়েও খেলেছেন সুনীল। তবে এরপর তিনি চলে যান গোয়ার ডেম্পো স্পোর্টস ক্লাবে। এরপর আমেরিকার ক্লাব থেকে ডাক আসে তাঁর। ততদিনে ভারতীয় ফুটবলে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন সুনীল। আমেরিকা থেকে ফেরার পর কলকাতার আরও এক ক্লাব ইউনাইটেড স্পোর্টসে। পর্তুগালের স্পোর্টিং পর্তুগাল দলের হয়েও খেলেছেন তিনি। তবে সুনীল সবচেয়ে সফল বেঙ্গালুরু এফসি-র হয়ে। টানা ১১ বছর এই ক্লাবের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন তিনি। 

ভারতের প্রাক্তন স্ট্রাইকার ভাইচুং ভুটিয়া তাঁর হাতে ক্যাপ্টেন্সির ব্যাটন তুলে দিয়েছিলেন। ছেত্রী ২০১১ সালে এএফসি এশিয়ান কাপের ম্যাচে খেলেন এবং ২০১২ সালে এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ কোয়ালিফায়ারে প্রথমবার জাতীয় দলের অধিনায়ক মনোনীত হন। মোট সাতবার এআইএফএফ-এর বর্ষসেরা ফুটবলারের খেতাব জিতেছেন। শুধু তাই নয়, ২০১১ সালে অর্জুন পুরস্কার এবং ২০২১ সালে ধ্যানচাঁদ খেল রত্ন পুরস্কারে ভূষিত হন। তিনি প্রথম ফুটবলার যিনি ক্রীড়া কৃতিত্বের জন্য দেশের সর্বোচ্চ পুরস্কার খেল রত্ন জিতেছেন।

Advertisement

২০১৮ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তাঁর নেতৃত্বেই ভারতীয় ফুটবল দল প্রথমবার ফিফা র‍্যাঙ্কিং-এ ১০০-র মধ্যে পৌঁছেছিল। ২০২৪ সালের ২৬ মার্চ ভারতের হয়ে ১৫০ তম ম্যাচ খেলছিলেন ভারতের জার্সি গায়ে ৯৪টি গোল করেছেন। ফিফা সদস্যদের মধ্যে সর্বকালের গোলদাতার তালিকায় চতুর্থ স্থানে ভারতের এই কিংবদন্তি তারকা। সক্রিয় খেলোয়াড়দের মধ্যে, তিনি কেবল লিওনেল মেসি (১৮০ ম্যাচে ১০৬ গোল) এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো (২০৫ ম্যাচে ১২৮ গোল) পিছনে রয়েছেন।

        

Advertisement