ডার্বি (Kolkata Derby) এলেই তাঁর মুখে শোনা যায় 'মস্তানির' কথা। সুপার কাপ (Kalinga Super Cup 2024) ডার্বিতে মোহনবাগানকে (East Bengal VS Mohun Bagan) ৩-১ গোলে হারিয়ে ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা বোঝালেন সেই 'মস্তানির' মানে। এই মরসুমে দ্বিতীয় ডার্বি জয় ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) । ডুরান্ড কাপের গ্রুপ পর্বে জয় এসেছিল ১-০ গোলে। তবে এবার ভুবনেশ্বরে 'মস্তানি' করেই জয় ছিনিয়ে আনল তাঁর দলের ছেলেরা। এমনটাই বলছিলেন দেবব্রত সরকার।
ম্যাচ শেষ হওয়ার পরে ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা বলেন, 'আমি ম্যাচের আগেই বলেছিলাম মস্তানির কথা। সেটাই করে দেখিয়েছে ফুটবলাররা। মস্তানি মানে কিন্তু রাহাজানি নয়। খেলয়াড়োচিত মনোভাব দেখিয়েই গোটা ম্যাচে শাসন করা। সেটা আজ হয়েছে তাই দল জিতেছে।' গোটা ম্যাচে সীমিত ক্ষমতা নিয়েও দারুণ ফুটবল খেলেছেন হিজাজি মেহেররা। আর তার জেরেই এই জয়। মাঝমাঠে হুগো বুমোসকে প্রায় বোতলবন্দী করে ফেলেছিলেন সৌভিক চক্রবর্তী। ডিফেন্সে মহম্মদ রাকিপ, হিজাজি মেহের, পার্দোরা এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়লেন না। উল্টে মোহনবাগানের সামনে দেওয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন।
ডার্বি জিতে দল সেমিফাইনালে চলে গেলেও সতর্ক করছেন ময়দানের পোড় খাওয়া কর্তা। তিনি বলেন, 'এই ডার্বি জেতার আনন্দে ভেসে গেলে হবে না। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।' বড় ম্যাচ জিতে প্রতিপক্ষকে কটাক্ষ করবেন না তা আবার হয় নাকি? মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত ডার্বির আগেই জানিয়েছিলেন তাঁদের ফুটবলার না থাকার কথা। সাত ফুটবলার জাতীয় দলে থাকায় তাঁদের যে সমস্যা হচ্ছে তা স্বীকার করেই নিয়েছিলেন তিনি। তবে তাতে পাত্তা না দিয়ে দেবব্রত সরকার সাফ বলেন, 'কে প্লেয়ার আগে, কে নেই এসব জানি না। যে জার্সিটা পরে খেলেছে, তাদের হারিয়েছি। আমারও দু'টো প্লেয়ার নেই।' ডার্বি যে সবসময়ই ৫০-৫০ তা আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা। তিনি বলেন, 'কে কত শক্তিশালী তা এই ম্যাচে কাজ করে না। যে ডমিনেট করবে সেই ম্যাচ জিতবে।'
এই ম্যাচেও রেফারির নানা সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক হয়েছে। নিশ্চিত পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত হয়েছে ইস্টবেঙ্গল। অন্যদিকে আবার পেনাল্টি থেকেও গোল করলেও মোহনবাগানের সেই গোল বাতিল হয়েছে। যদিও এদিনের ম্যাচ জেতার পরে রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনও কথাই খরচ করলেন না দেবব্রত সরকার। পিছিয়ে পড়লেও ফিরে এসে দলের এমন জয় নিয়ে বেজায় খুশি লাল-হলুদের শীর্ষকর্তা।