সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মাথা ঠান্ডা রাখাটাই বোধহয় পার্থক্য গড়ে দেয়। আর সেটা যদি হয় বিশ্বকাপের (T20 World Cup 2024) মতো মঞ্চ, তা হলে তো কোনও কথাই নেই। শেষ পাঁচ ওভারে ৩০ রান ডিফেন্ড করতে হবে। আর সেই সময়ই রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) বল তুলে দিলেন হার্দিক পান্ডিয়ার (Hardik Pandya) হাতে। ভারতীয় ক্রিকেটের ব্যাড বয়। এই রোহিতকে টপকেই মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (Mumbai Indians) ক্যাপ্টেন হওয়া। বিতর্ক সব ভুলে দেশের স্বার্থে, ১৭ বছরের খরা কাটাতে এগিয়ে এলেন হার্দিক।
৩০ বলে ৩০ রান এখনকার টি২০ ক্রিকেটে একেবারেই কঠিন কিছু নয়। বিস্ফোরক ফর্মে থাকা হেনরিখ ক্লাসেনকে দেখে সমর্থকদের কেউ ভাবতে পারেননি ম্যাচটা ভারত জিতবে। তবে সেই ক্লাসেনকেই ফিরিয়ে দিলেন হার্দিক। ওটাই ম্যাচ ঘুরিয়ে দিল। তবে এই প্রথম নয়, টিম ইন্ডিয়ার উইকেট দরকার হলেই হার্দিক এগিয়ে এসেছেন। পাঁচ মাস কম কিছু সহ্য করতে হয়নি হার্দিককে। তবুও হার্দিকের উপরেই বাজি ধরেছিলেন রোহিত শর্মা।
— hardik pandya (@hardikpandya7) June 29, 2024
এই মরসুমে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ক্যাপ্টেনের পদ থেকে ছাঁটাই করা হয়েছিল রোহিতকে। তাঁর বদলে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল হার্দিককে। তারপরে নিজের দলের সমর্থকদের কাছেই শুনতে হয়েছে নানা মন্তব্য। এতকিছুর মধ্যেও হার্দিক ও রোহিতের সম্পর্ক যে নষ্ট হয়নি তা প্রমাণ দিলেন রোহিত। বড় দাদার মতো বিশ্বকাপ জিততেই হার্দিককে চুমু দিলেন রোহিত। গোঁফ-দাড়ি কেটে নতুন লুকে বিশ্বকাপ ফাইনালে নেমেছিলেন।
এদিন ব্যাট হাতে সুযোগ না পেলেও, বল হাতে কাজের কাজটা করে গেলেন হার্দিক। ম্যাচ শেষে দেখা গেল তিন ওভার বল করে ২০ রান দিয়ে তিন উইকেট তুলে নিয়েছেন হার্দিক। আর শেষ ওভারেই এল দুই উইকেট। যার জেরে ১৬ রান তাড়া করতে নেমে হেরেই বসল দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতের অলরাউন্ডার দিলেন মাত্র আট রান। সূর্যকুমার যাদবের শেষ ওভারে নেওয়া দুরন্ত ক্যাচ ভারতীয় দলের জয়কে অনেকটাই নিশ্চিত করে দেয়। কারণ সেই উইকেটটা ছিল মিলারের। কিলার মিলার বলে বিশ্ব ক্রিকেটে পরিচিত এই ব্যাটারই ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার শেষ ভরসা। তাঁকে তুলে নেওয়ায় ম্যাচ ভারতের হাতে চলে আসে। শুধু তাই নয়, পেয়ে গেলেন পুরস্কারও। ম্যাচের পর টি২০ থেকে অবসর নিলেন বিরাট। পরের দিন একই পথে হাঁটলেন রোহিত। ফলে এবার ভাইস ক্যাপ্টেন থেকে ক্যাপ্টেন হতে পারেন হার্দিক। তাই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের পর এবার টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটনও রোহিতই প্রায় তুলে দিলেন অলরাউন্ডারের হাতে।