গোটা দেশের নজর ছিল চন্দ্রযানের ৩-এর দিকে। যে সময় চন্দ্রযান চাঁদের পৃষ্ঠে নামছে, সেই সময় আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ টি২০ ম্যাচে নামার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সারছে জসপ্রীত বুমরার টিম ইন্ডিয়া। সব ছেড়ে গোটা দল চলে আসে টেলিভিশনের সামনে।
গর্বের মুহূর্তের সাক্ষী থাকলেন ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা। ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৬:০৪-য় ইতিহাস গড়ে ভারত। সেই মুহূর্তের ভিডিও পোস্ট করে ভারতের ক্রিকেট বোর্ড। ইসরোর বিজ্ঞানীদের ধন্যবাদ জানানো হয়। ভারত আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজ খেলছে বুমরার ভারতীয় দল। আর তার ফাঁকেই বেশ টেনশনে ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। ইতিহাস গড়ার পর, দারুণ উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন তাঁরা। আসলে চন্দ্রযান ২ সঠিকভাবে চন্দ্রপৃষ্ঠে পদার্পণ করতে না পারায়, এবার গোটা দেশের নজর ছিল এই অভিযানের দিকে। আর সেই অভিযান সফল হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই দারুণ খুশির মহল ভারতীয় দলের।
কীভাবে চন্দ্রপৃষ্ঠে চন্দ্রযান-৩?
প্রথমে রাফ ব্রেকিংয়ের মাধ্যমে চন্দ্রযানের গতি কমানো হয়। প্রায় ৭-৮ মিনিট ধরে গতি কমানো হয়। অবতরণের ১৩ মিনিট আগে প্রায় ২৪ কিলোমিটার উচ্চতায় নেমে আসে চন্দ্রযান-৩। কন্ট্রোল রুমে সেই সময়ে টানটান উত্তেজনা। ৮০০ নিউটনের ৪টি থ্রোটল ইঞ্জিনের মাধ্যমে ল্যান্ডার মডিউলের অনুভূমিক গতি কমানো হয়। রাফ ব্রেকিংয়ের পর চন্দ্রযান-৩ চন্দ্রপৃষ্ঠের সঙ্গে এমন কৌণিক দিকে থাকবে, যাতে তার দুই অল্টিমিটারই সোজাসুজি চাঁদের দিকে থাকে। সন্ধ্যা ৫.৫৮ নাগাদ ল্যান্ডার ১ কিলোমিটারের কাছে এসে যায়। শুরু হয় ভার্টিকাল ডিসেন্ট ফেজ।
সিরিজ জয় নিশ্চিত করে ফেলেছে ভারতীয় দলও
আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩ ম্যাচের টি২০ সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচে জিতে সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলেছে টিম ইন্ডিয়া। প্রথম ম্যাচে ২ রানে জেতার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ৩৩ রানে জয় পায় টিম ইন্ডিয়া।
এই পর্যায়ে চাঁদের মাটির দিকে মুখ করেই ল্যান্ডারের থ্রাস্টার জ্বলতে থাকে। এভাবে ধীরে ধীরে চাঁদের মাটির দিকে এগোতে থাকে চন্দ্রযান-৩। এভাবে ধীরে ধীরে ৩৫০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত নামে ল্যান্ডার। সেখানে ২০-২২ সেকেন্ড হোভার বা এক স্থানে ভাসমান হয়ে থাকে ল্যান্ডার। এরপর ১৫০ মিটার থেকে ২টি থ্রাস্টার জ্বলে ওঠে। একেবারে ধীরে ধীরে নেমে আসে চন্দ্রযান-৩। সন্ধ্যা ৬.০৪ নাগাদ চাঁদের মাটি ছুঁয়ে ফেলে ভারত।