নিরাপত্তার কারণে রবিবারর ডুরান্ড কাপের (Durand Cup 2024) ডার্বি (Kolkata Derby) ম্যাচ বাতিল হলেও, তিন প্রধানের সমর্থকদের প্রতিবাদ ঠেকাতে যে পরিমাণ পুলিশ দেওয়া হয়েছিল তাতে ডার্বি করা যেত। এমনটাই মত ছিল ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবের। শুধু তিনি নন, একই দাবি তুলেছেন ইস্টবেঙ্গল (East Bengal), মোহনবাগান (Mohun Bagan) ও মহমেডানের (Mohammedan Sporting) সমর্থকরাও। তিন প্রধানের সমর্থকদের মিছিলে লাঠিচার্জ যেমন হয়েছে, তেমনই লালবাজারে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কয়েকজন সমর্থককেও।
সেই সমর্থকদের ছাড়াতে ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখা যায়নি কোনও ক্লাব কর্তাকে। বরং ঝাঁপিয়ে বাঁচিয়েছেন ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবে। নিতু সরকার বলেন, 'সমর্থকদের পাশে দাঁড়াব। যে সহযোগিতা চাইবে। তার পাশে দাঁড়াবে। আমরা প্রশাসন আর ডুরান্ড কমিটি বা সরকারের বিচার করতে বসিনি। সরকার চালানো আমাদের কাজ নয় । এআইএফএফ তো ক্লাবের বাইরে নয়। তাই আমাদের নিখোঁজের প্রশ্ন নেই।' কেন ডার্বি ম্যাচ আয়োজন করা গেল না কলকাতায়? দেবাশিস দত্ত বলেন,'সবাই বিচার চাইছি। আপনার কাজে আমার মনে হচ্ছে আপনি ভুল করছেন। আপনি জানেন কোনটা কিভাবে করা যায়। পুলিশের নির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে, কী ভাবে ডার্বি আয়োজন করা যায়। পুলিশ মনে করেছে ওই পরিস্থিতিতে ডার্বি আয়োজন সম্ভব নয়। সমালোচনা যে কেউ করতে পারে।'
তিনি ও বলেন, 'পুলিশের নিজস্ব আইবি টিম থাকে। ওরা সেখান থেকে তথ্য সংগ্রহ করে কথা বলে। পুলিশ কি ভাবে আয়োজন করা যায় সেটা তারা জানবে। আমাদের সমর্থকদের দুটো বক্তব্য ছিল; সমর্থকরা চাইছে খেলা ফিরুক। আমরা চাই তদন্ত তাড়াতাড়ি হোক। ডুরান্ড চলছে। কলকাতা থেকে চলে যাওয়া ঠিক নয়। ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। আশ্বস্ত করার কথা বলেছি ডুরান্ড কমিটিকে।'
মহমেডান কর্তা ইসতিয়াক আহমেদ রাজু বলেন, 'ফুটবল যেটা সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেটা ফেরানো হোক। দর্শক, সমর্থকদের অধিকার আছে প্রতিবাদ করার। ল অ্যান্ড অর্ডার মেনে হোক। ক্লাব থেকে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি প্রতিবাদ করুক কোনও সদস্য। তবে আমরা বিচার চাই। মুখ্যমন্ত্রী যেমন বলছেন। ফাঁসি চেয়েছেন যেমন তেমন আমি চাই।'