রাজকোট টেস্টে জ্যাক ক্রাউলিকে আউট করার সঙ্গে সঙ্গেই টেস্ট ক্রিকেটে ৫০০ উইকেট নিয়ে ফেলেন। তবে তাঁর মা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় রাজকোট টেস্টে আর খেলতে পারবেন না। তাঁকে বাড়ি ফিরে যেতে হয়েছে। বিসিসিআই একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলেছে যে অশ্বিনের পরিবারে একটি মেডিকেল ইমার্জেন্সি হয়েছে, তাই তিনি এই টেস্ট ম্যাচে আর অংশ নেবেন না। কিন্তু এবার জানা গেল কেন হঠাৎ রাজকোট টেস্ট ছেড়ে চেন্নাইয়ে গেলেন অশ্বিন।
বিসিসিআই কর্তা রাজীব শুক্লা এই বিষয়ে একটি আপডেট দিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন অশ্বিনের মা চিত্রা অসুস্থ। এ কারণে টেস্ট ম্যাচের বাইরে তিনি। তিনি লিখেছেন, 'আমি অশ্বিনের মায়ের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। রাজকোট টেস্ট ছেড়ে মায়ের কাছে থাকতে চেন্নাই যেতে হয়েছে তাঁকে।' অশ্বিনকে বাদ দেওয়ার বিষয়ে একটি আপডেট দিয়েছে বিসিসিআই। সেখানে বলা হয়, 'বিসিসিআই এবং তাঁর সতীর্থ, খেলোয়াড় এবং স্টাফ সহ সমস্ত সদস্য রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং তার পরিবারের পাশে রয়েছে। বিসিসিআই বলে যে খেলোয়াড় এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।'
বিসিসিআই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ভক্ত এবং অনুরাগীদের কাছে খেলোয়াড় এবং তাদের পরিবারের গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্যও আবেদন করেছেন। কারণ তারা এই মুহূর্তে কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বিসিসিআই এবং দল অশ্বিনকে সমস্ত সুবিধা দেবে বোর্ড। যদি কোনো প্রয়োজন হয়, সে জন্য অশ্বিনের সঙ্গে আলোচনা চলবে।
রাজকোটে শুক্রবারই তাঁর ৫০০ তম টেস্ট উইকেট পেয়ে কুম্বলের পর সেই এলিট ক্লাবে ঢুকে পড়েছিলেন৷ জ্যাক ক্রলির উইকেট তুলে নিয়ে এই কীর্তি গড়েন ভারতীয় দলের স্পিনার। অশ্বিন এখনও পর্যন্ত ৯৮ টেস্টের ১৮৪ ইনিংসে ৫০০ উইকেট নিয়েছেন। এদিনের আগে আরও একটি উইকেট দরকার ছিল তাঁর, তাহলেই তিনি দ্বিতীয় ভারতীয় বোলার হিসেবে ৫০০ উইকেট নিয়ে নিলেন।
সার্বিকভাবে বিশ্বের নবম বোলার হিসেবে টেস্টে ৫০০ উইকেটের মাইলস্টোন ছুঁয়ে ফেলেন অশ্বিন। রবিচন্দ্রনের আগে টেস্ট ক্রিকেটে ৫০০ উইকেটের মাইলস্টোন টপকেছেন মুরলিধরন (৮০০), ওয়ার্ন (৭০৮), অ্যান্ডারসন (৬৯০), কুম্বলে (৬১৯), ব্রড (৬০৪), ম্যাকগ্রা (৫৬৩), ওয়ালস (৫১৯) ও লিয়ন (৫১৭)। বিশ্বের পঞ্চম স্পিনার হিসেবে টেস্টে ৫০০ উইকেটের মাইলস্টোন ছুঁয়ে ফেলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। অশ্বিন ছাড়া এই কৃতিত্ব রয়েছে শ্রীলঙ্কার মুথাইয়া মুরলিধরন (৮০০), অস্ট্রেলিয়ার শেন ওয়ার্ন (৭০৮) ও নাথান লিয়ন (৫১৭) এবং ভারতের অনিল কুম্বলের (৬১৯)।