আর রাস্তায় নয়, রেসলিং ফেডারেশনের সভাপতি এবং বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী কুস্তিগীরদের লড়াই এখন চলবে আদালতে। সাক্ষী মালিক রবিবার টুইট করেছেন যে আদালতে তাঁরা লড়াই চালিয়ে যাবেন। তিনি টুইটে লিখেছেন, '৭ জুন সরকারের সঙ্গে অনুষ্ঠিত আলোচনায় সরকার কুস্তিগীরদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করেছে, সরকার সেই পর্বে মহিলাদের হয়রানি ও যৌন শোষণের বিষয়ে খেলোয়াড়দের অভিযোগের সুরাহা করেছে। দিল্লি পুলিশ ছয়জন মহিলা কুস্তিগীরের বিরুদ্ধে দায়ের করা FIR-এর তদন্ত শেষ করেছে এবং ১৫ জুন আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে৷ এ ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার না হওয়া পর্যন্ত কুস্তিগীরদের আইনি লড়াই রাজপথের পরিবর্তে আদালতে চলবে।'
সাক্ষী আরও লিখেছেন, 'অ্যাসোসিয়েশনের সংস্কারের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আগামী ১১ জুলাই। এ বিষয়ে সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা বাস্তবায়নের অপেক্ষায় থাকব আমরা।'
একই টুইট শেয়ার করেছেন সাক্ষী এবং ভিনেশ ফোগাট। এর বাইরে কয়েকদিন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরত্ব রাখার কথাও বলেছেন ভিনেশ। তিনি টুইট করেছেন, 'কিছু দিনের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিরতি নিচ্ছি। সবাইকে ধন্যবাদ।'
কুস্তিগীরদের প্রকাশ্য বিরোধ সামনে এসেছে
এদিকে কুস্তিগীরদের প্রকাশ্য বিরোধ সামনে এসেছে। লাইভ ভিডিও মেসেজে যোগেশ্বর দত্তের সমালোচনা করেছেন কুস্তিগীররা। সাক্ষী মালিক বলেছেন, 'আমরা এমন কোনও চিঠি লিখিনি। আমরা কখনও কারও অধিকার হরণ করিনি এবং করবও না। আমরা এখানে এসেছি কারণ আমরা কুস্তিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছি।' সাক্ষী বলেন, 'আমরা ৬ মাস ধরে রেসলিং থেকে দূরে রয়েছি, আমরা শুধু ট্রায়াল এবং কিছু সময় চেয়েছি। মানুষ বলছে আমরা শেষ।' অন্যদিকে, বজরং পুনিয়া বলেছেন, 'ভিনেশ এবং আমি এখনও সেরা ৮ কুস্তিগীরের মধ্যে আছি, আপনি যদি সেরা ১০-এ আসেন, তবে আমাদের বলুন। ভিনেশ বলল, তোমার ভাই এই মেয়েদের ডেকে বলেছে এই ঘরের বাইরে কমিটির মিটিং নিয়ে কেউ কথা বলবে না। আমরা এসবের বাস্তবতা দেখাতে চেয়েছি। আমরা সরাসরি স্পনসরশিপের জন্য লড়াই করছি যা ফেডারেশনের পাওয়া উচিত।' কুস্তিগীর সাক্ষী মালিক বলেন, 'আমরা লড়াই করছি যাতে তরুণ ও উদীয়মান কুস্তিগীররা সরাসরি স্পন্সর পেতে পারেন, যা ব্রজভূষণ হতে দেননি।'