Phone Battery Health Tips: একটু আগেই চার্জ দিলেন। এক ঘণ্টা যেতে না যেতেই ব্যাটরি কমে গেল। স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের অনেকেই এই সমস্যার শিকার হন। বিশেষত স্মার্টফোন পুরানো হয়ে গেলে এই সমস্যাটি আরও বেশি দেখা দেয়। চার্জ দিলেও বেশিক্ষণ টেকে না। ফোন বেশি ঘাঁটাঘাঁটি করলে তো কথাই নেই। ফলে চার্জার নিয়ে ঘুরতে হয়। অথবা কারও থেকে চার্জার ধার নেন। অনেকে তো আবার পাওয়ার ব্যাঙ্ক সঙ্গে নিয়ে ঘোরেন। শুধুমাত্র ব্যাটারির জন্যই ফোন বদলাতে বাধ্য হন অনেকে।
এই সমস্যা এখন সকলের। কিন্তু জানলে অবাক হবেন, এতে স্মার্টফোন ব্যাটারি নির্মাতাদের তেমন দোষ নেই। আসলে আমাদের ভুলের কারণেই স্মার্টফোনের ব্যাটারির চার্জ টেকে না।
আমাদের দোষেই এই অবস্থা হয়
যে কোনও ব্যাটারির আয়ু থাকে। ধরুন কোনও সাধারণ ব্যাটারি মোট ৩,০০০ বার পর্যন্ত চার্জ দেওয়া সম্ভব। এদিকে আপনি ব্যাটারি নতুন থাকা অবস্থা থেকেই বারবার চার্জে বসিয়ে দেন। এমনটা করলে কিন্তু আপনার ব্যাটারির স্বাস্থ্য দ্রুত নষ্ট হয়ে যাবে। তাই ব্যাটারির স্বাস্থ্য ভাল রাখতে হলে চার্জ দিন মেপে।
শেষ হয়ে এলে তবেই চার্জ
ব্যাটারি ৫০% নামতেই চার্জে বসিয়ে দিলেন? এমনটা করলে কিন্তু ভুল করবেন। আপদকালীন পরিস্থিতি ছাড়া এমন করবেন না। ব্যাটারি পার্সেন্টেজ কমলে তবেই চার্জে বসাবেন।
একেবারে বন্ধ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন না
ব্যাটারি একেবারে শেষ হওয়া পর্যন্তও অপেক্ষা করবেন না। ১৫-২০%-এ ব্যাটারি নেমে এসে তখনই চার্জে বসাবেন।
অতিরিক্ত সময় ধরে চার্জিং
ব্যাটারি ১০০% হয়ে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও ফোন চার্জে বসিয়ে রেখে দিলেন। এমনটা করলে কিন্তু ভুল করবেন। এতে লাভ কিছুই হয় না। উল্টে এতে ব্যাটারির স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যায়।
ভুল চার্জার ব্যবহার করা
আপনার স্মার্টফোনের সঙ্গে যে চার্জার দেওয়া হয়েছে, সেটাই ব্যবহার করুন। এর বাইরে অন্য কোনও চার্জার ব্যবহার করবেন না। নয় তো আপনার স্মার্টফোনের ব্যাটারি ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।
চার্জ ধরে রাখতে কী করবেন?
১. ফোনে ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপস বন্ধ করে রাখবেন।
২. অটো-আপডেট বন্ধ করে রাখুন।
৩. প্রয়োজন না হলে মোবাইল ডেটা, ওয়াইফাই ও ব্লুটুথ অফ করে দিন।