চলতি বছরের শেষ নাগাদ এ দেশে চালু হতে চলেছে 5G নেটওয়ার্ক। 5G আসার আগেই জল্পনায় 6G। অতিসম্প্রতি Nokia-র CEO পেক্কা লুন্ডবার্গের 6G নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। লুন্ডবার্গের বিশ্বাস, ২০৩০ সালের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে ৬জি চালু হবে। তখন আর প্রাসঙ্গিক থাকবে না বর্তমান স্মার্টফোন।
তবে স্মার্টফোনের অস্তিত্ব শেষ হবে না। বরং তা অন্য়ভাবে কাজে লাগবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, চশমা বা স্মার্টওয়াচে স্মার্টফোনের সমস্ত ফিচার পাওয়া যাবে। ডাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম সম্মেলনে ভবিষ্যতের যন্ত্রের আভাস দিয়ে লুন্ডবার্গ বলেন,'6G আসতে আসতে যে স্মার্টফোনটি ব্যবহার করছি সেটি আর বহুল ব্যবহৃত ইন্টারফেস থাকবে না।'
তা কেমন হতে চলেছে ভবিষ্যতের যন্ত্র?
ভবিষ্যতের যন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করবে মানুষের স্নায়ু, মস্তিষ্ক। সরাসরি শরীরের সঙ্গে যোগ থাকবে। সাইবোর্গ এবং ব্রেন কম্পিউটারের মতো প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে বহু সংস্থা।
সাইবোর্গ কী?
গত কয়েক বছর ধরে ভবিষ্যতের চিপ এবং মানবদেহের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে এমন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে বহু কোম্পানি। হলিউডের কল্পবিজ্ঞানের ছবিগুলিতে দেখা গিয়েছে এই প্রযুক্তি। সাইবোর্গ শব্দের জন্ম এই ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির দিকে তাকিয়ে। Cyborg অর্থাৎ সাইবারনেটিক অর্গানিজম। যার ব্যবহার করা হবে ব্যক্তির ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য। শরীরের অংশ যে কোনও লাগানো হবে যন্ত্র। যদি সব পরিকল্পনা অনুযায়ী চলে তাহলে 6G সিম কার্ড আর ফোনে লাগানোর দরকার পড়বে না। মানব শরীরেই থাকবে সিম। যদিও স্মার্টফোন ২০৩০ সালের মধ্যে শেষ হবে না তবে তার ব্যবহার কমবে অথবা বদল ঘটতে পারে।
নিউরালিংক ব্রেন কম্পিউটার
এলন মাস্কের সংস্থা নিউরালিংক ভবিষ্যতের প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। মানুষের ব্রেনের সঙ্গেই যুক্ত এই কম্পিউটার। গত বছরের এপ্রিলে মাস্ক একটি ভিডিওটি প্রকাশ করেন। তাতে এই ধরনের কম্পিউটারের ব্যবহার পরীক্ষামূলকভাবে দেখানো হয়েছিল। একটি পুরুষ বাঁদরে মস্তিষ্কে চিপ বসানো হয়েছিল। মস্তিষ্কের ব্যবহারেই খেলতে পারছিল সে।
আরও পড়ুন- ফিরছে 'রাজার গাড়ি', নতুন রূপে বাজার কাঁপাবে অ্যাম্বাসেডর ২.০