India Today Conclave 2024: ইলন মাস্কের নিউরালিঙ্ক মূলত মস্তিষ্কের সমস্যার সমাধান করার বিষয়ে কাজ করে। স্নায়ুবিজ্ঞানীরা এমন এক ভবিষ্যতের কথা বলছেন, যেখানে মানুষের স্বপ্নকেও ক্লাউডে আপলোড করা যাবে।
ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভ ২০২৪- এ নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড বিজনেসের অধ্যাপক মোরান সার্ফ এমনই এক ভবিষ্যতের ছবি আঁকলেন। চিন্তাভাবনা, ব্যক্তিগত বিকাশ, সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং গ্রাহক পরিষেবা উন্নত করতে এবং মস্তিষ্ক সম্পর্কে বর্তমান জ্ঞানকে কাজে লাগাতে AI ও নিউরোসায়েন্স প্রযুক্তির প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন।
তবে এক্ষেত্রেও চিন্তার বিষয় রয়েছে। মস্তিষ্কের ইমপ্লান্টের ক্ষেত্রে মানব জাতির বিপদ এমনকি চিন্তাভাবনা হ্যাক করার সম্ভাবনা নিয়েও উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে।
মোরান সার্ফের মতে, নিউরোসায়েন্স এবং ব্যবসার একটি যোগ রয়েছে। তাঁদের মূল লক্ষ্য হল, 'চিন্তাভাবনাকে ব্যবসায় পরিণত করা, আবেগকে বোঝা।' এটি আজকের প্রতিযোগিতার বাজারে সংস্থাগুলিকে এগিয়ে থাকতে সাহায্য করতে পারে।
মোরান সার্ফ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নায়ুবিজ্ঞান এবং ব্যবসার অধ্যাপক।
মোরান সার্ফের কাজ ব্যবসায় স্নায়ুবিজ্ঞানের প্রয়োগের বাইরেও প্রসারিত। তিনি মস্তিষ্কের ইমপ্লান্টের বিষয়েও কাজ করছেন।
'মস্তিষ্ক যা করতে পারে তার সীমাবদ্ধতা রয়েছে,' বলেন মোরান সার্ফ। মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে ইন্টারফেস তৈরি করে এবং বাহ্যিকভাবে ক্লাউডের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করার সম্ভাবনার কথা বলেন তিনি।
মোরান সার্ফ, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে এক নতুন পারমাণবিক প্রোটোকল তৈরির পরামর্শও দেন।
'প্রযুক্তির ভুল প্রয়োগ মানব জাতির ক্ষতি করতে পারে, জলবায়ু পরিবর্তন থেকে এআই থেকে পারমাণবিক যুদ্ধ পর্যন্ত। যে পরমাণুর শক্তি যুদ্ধে ব্যবহৃত হয়েছে, সেটাই বহু শহরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিচ্ছে। যে ট্রেন যুদ্ধবন্দীদের বহনের জন্য তৈরি করা হয়েছিল, সেটাই আজ পরিবহনের অন্যতম মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই প্রযুক্তির প্রয়োগ কীভাবে হবে, সেটা আমাদের-ব্যবহারকারীদের হাতেই থাকবে,' বলেন মোরান সার্ফ।