চাঁদের বাইরের কক্ষপথে ঢুকে পড়ল চন্দ্রযান-৩। এবার চাঁদের চারপাশে ১৬৬ কিমি X ১৮০৫৪ কিলোমিটারের উপবৃত্তাকার কক্ষপথে ঘুরবে চন্দ্রযান। চাঁদের কক্ষপথের কোন দিকে মাপতে তার জন্য ইসরো প্রায় ২০ থেকে ২৫ মিনিটের জন্য থ্রাস্টার চালু রাখে। এতে চাঁদের মাধ্যাকর্ষণে আটকে যায় চন্দ্রযান। এবার চাঁদের চারপাশে ঘুরতে থাকবে। একে লুনার অরবিট ইনজেকশন বা সন্নিবেশ (LOI)ও বলা হয়।
চাঁদের চারপাশে পাঁচটি কক্ষপথ পরিবর্তন করা হবে। ৬ অগাস্ট রাত ১১টার দিকে চন্দ্রযানের কক্ষপথকে ১০ থেকে ১২ হাজার কিলোমিটার কক্ষপথে রাখা হবে। ৯ অগাস্ট দুপুর ২.৪৫ মিনিটে এর কক্ষপথটি ৪ থেকে ৫ হাজার কিলোমিটার কক্ষপথে পরিবর্তিত হবে।
১৪ ই আগস্ট বিকেলে এটি ১০০০ কিলোমিটারে নেমে আসবে। পঞ্চম কক্ষপথ যেটি খুব গুরুত্বপূর্ণ, এটি ১০০ কিলোমিটার কক্ষপথে স্থাপন করা হবে। ১৭ অগাস্ট, প্রপালশন মডিউল এবং ল্যান্ডার মডিউল থেকে আলাদা হবে। ১৮ এবং ২০ অগাস্ট ডি-ওরবিটিং হবে। অর্থাৎ চাঁদের কক্ষপথের দূরত্ব কমে যাবে। ল্যান্ডার মডিউলটি ১০০X৩৫ কিমি কক্ষপথে যাবে। এর পরে, ২৩ তারিখ বিকেল ৫টা৪৭ মিনিটে চন্দ্রযানের অবতরণ হবে। কিন্তু এখনও ১৮ দিনের যাত্রা বাকি।
ক্রমাগত কমবে চন্দ্রযান-৩ এর গতি
চাঁদের কক্ষপথ ধরতে চন্দ্রযান-৩-এর গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ৩৬০০ কিলোমিটার বাড়ানো হয়েছিল। কারণ চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ পৃথিবীর তুলনায় ছয় গুণ কম। এই জন্য, ইসরো বিজ্ঞানীরা চন্দ্রযানের গতি প্রতি সেকেন্ডে ২ বা ১ কিলোমিটার কমিয়েছেন। এই গতির কারণেই চাঁদের কক্ষপথ ধরতে সক্ষম হন। এখন ধীরে ধীরে চাঁদের চারপাশে এর কক্ষপথের দূরত্ব কমিয়ে দক্ষিণ মেরুর কাছে অবতরণ করা হবে।
Chandrayaan-3 Mission Update:
Lunar Orbit Insertion (LOI) maneuver was completed successfully today (August 05, 2023). With this, #Chandrayaan3 has been successfully inserted into a Lunar orbit.
The next Lunar bound orbit maneuver is scheduled tomorrow (August 06, 2023), around… pic.twitter.com/IC3MMDQMjU— LVM3-M4/CHANDRAYAAN-3 MISSION (@chandrayaan_3) August 5, 2023Advertisement
গতবারের ভুল এবার আর নয়
এবার ল্যান্ডারে যে যন্ত্রটি বসানো হয়েছে তার নাম হল লেজার ডপলার ভেলোসিটিমিটার (LDV) এবং ল্যান্ডার হরাইজন্টাল ভেলোসিটি ক্যামেরা (LHVC)। লেজার ডপলার ভেলোসিটিমিটার মাটিতে নামার সময় একটি 3D লেজার নির্গত করে। এই লেজারটি মাটির সাথে সংঘর্ষ করে এবং পৃষ্ঠটি কেমন তা বলে দেয়। উঁচু নীচু অসমান এর উপর ভিত্তি করে, যা অবতরণের জন্য সঠিক জায়গাটি বেছে নেবে।
যে লেজারগুলি অন্য দুটি দিকে যায়, তার সামনে বা পিছনে কোনও উঁচু বস্তু নেই কিনা তা দেখতে পারে, যে কারণে ল্যান্ডারে আঘাতের আশঙ্কা রয়েছে। এর সঙ্গে LHVC কাজ করে যা মাটির নীচের অংশের ছবি তোলে। তাও সচল আছে। যাতে ল্যান্ডারের অবতরণের গতি এবং হেলিকপ্টারের মতো বাতাসে ভাসমান জানা যায়। এছাড়াও, বিপদ আন্দাজ করা যেতে পারে।