scorecardresearch
 

ফোনের বিউটি ফিল্টারেই ভয়ঙ্কর বিপদ লুকিয়ে! বড় সিদ্ধান্ত নিল গুগল

রবি ঠাকুরের সেই বিখ্যাত লাইন মনে আছে, 'কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি'? গানের কৃষ্ণকলি খুব প্রিয় হলেও বাস্তব জীবনে কৃষ্ণকলি বা শ্যামবর্ণ মানুষরা বোধ হয় নিজেরাই নিজেদের সেই রূপ পছন্দ করেন না। ডিজিটাল সমৃদ্ধির দিকে প্রত্যেকদিন যেই রকম ভাবে এগিয়ে যাচ্ছি, জানেন কি তার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ডেকে আনছি ঘোর বিপদ? 

Advertisement
প্রতীকি ছবি প্রতীকি ছবি
হাইলাইটস
  • বিউটি ফিল্টার থাকবে না গুগলের ফোনে
  • বিউটি ফিল্টার ব্যবহার করে হচ্ছে ডিসফোরিয়ার মতো মানসিক রোগ
  • ফোনের বিউটি ফিল্টারেই ভয়ঙ্কর বিপদ লুকিয়ে

রবি ঠাকুরের সেই বিখ্যাত লাইন মনে আছে, 'কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি'? গানের কৃষ্ণকলি খুব প্রিয় হলেও বাস্তব জীবনে কৃষ্ণকলি বা শ্যামবর্ণ মানুষরা বোধ হয় নিজেরাই নিজেদের সেই রূপ পছন্দ করেন না। ডিজিটাল সমৃদ্ধির দিকে প্রত্যেকদিন যেই রকম ভাবে এগিয়ে যাচ্ছি, জানেন কি তার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ডেকে আনছি ঘোর বিপদ?  

গত সপ্তাহে গুগল ঘোষণা করেছে, তাদের ফোনের ক্যামেরায় আর কোনোরকম বিউটি ফিল্টার অন্তর্ভুক্ত করা হবে না। দীর্ঘদিন ধরে বাহ্যিক  সৌন্দর্য  নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক এবং ঐতিহ্যবাহী ধারনার ফলে স্মার্টফোনগুলির বিউটি ফিল্টার দিন দিন আপডেট হচ্ছে। যা বাহ্যিকভাবে সৌন্দর্যের আসল সংজ্ঞার ভুল ধারনাকে আরো এক ধাপ উসকে বিচ্ছেদ। 

 বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এর ফলে মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর খুব খারাপ প্রভাব পড়ছে। সমস্যা বেশী দেখা দিচ্ছে মূলত অল্প বয়সীদের মধ্যে। তারা ডিসফোরিয়ার মতো মানসিক রোগে ভুগছে।

এই সমস্ত সমস্যা দূর করতে গুগল নিয়ে আসবে নিজস্ব পিক্সেল ক্যামেরা অ্যাপ্লিকেশন যুক্ত অ্যাপস।  যেখানে মান নিরপেক্ষ আইকনোগ্রাফি এবং পরিষ্কার পাঠ্য বিবরণ দিয়ে আপডেট থাকবে। যার ফলে‌ স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের ক্ষতি কম হবে এবং তারা উপকৃত হবেন।

যদিও মনে করা হচ্ছে শুধুমাত্র গুগলের তরফ থেকে এই ধরনের পরিবর্তন আনলে যুগ যুগ ধরে চলে আসা জাতপাত, বর্ণবাদের মত সমস্যাগুলির সমাধান হবে না। যতক্ষণ না অন্যান্য অ্যান্ড্রয়েড ফোনগুলির প্লে স্টোর বা অন্য জায়গা থেকে এই ধরনের ফিল্টার বা অ্যাপ সরানো হচ্ছে, ততক্ষণ কোন লাভ নেই।

শিশু ও মানসিক স্বাস্থ্যের বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন,এই ধরনের সামাজিক ব্যাধি থেকে মুক্তি পাওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় সকলের দুর্বল মনকে শিক্ষিত করা। তবে বৃহত্তর ক্ষেত্রে এখনই পুরোপুরি এটি কার্যকর না হলেও গুগলের এই নতুন প্রয়াস এই ধরনের সামাজিক ব্যাধির থেকে বেরিয়ে আসার সমাধান হতে পারে। সংস্থার এই সিদ্ধান্ত অবশ্যই প্রশংসনীয়।

Advertisement

Advertisement