কমবেশি এখন সবার হাতেই স্মার্টফোন। ফোন নম্বরই হয়ে উঠেছে মানুষের পরিচয়। স্মার্টফোন নেই এমন কাউকে পাওয়া দুষ্কর। ফোন যত স্মার্ট তত বেশি মানুষ তাতে মজেছে। এখন ফোন শুধু ছবি তোলা, কল আসা-যাওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং নানা ধরনের অ্যাপের পরিষেবাও মেলে। তা সে এক ক্লিকে চার চাকা গাড়ি ডাকা হোক বা খাবার অর্ডার- সবই হাতের কাছে হাজির। এমন একটি অ্যাপ বাধ্যতামূলক করল কেন্দ্রীয় সরকার। প্রতিটি স্মার্টফোন নির্মাতাকেই তা রাখতে হবে ফোনে।
স্মার্টফোন নির্মাতাদের কেন্দ্র নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, সব ফোনে এফএম রেডিও রাখা আবশ্যক। এর ফলে সাধারণ মানুষের কাছে বিনোদনের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। রেডিও ও স্মার্টফোনের মধ্যে যে ডিজিটাল দূরত্ব রয়েছে, তা কমাতেই এই সিদ্ধান্ত। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে বহু মানুষের আলাদা করে রেডিও সেট কেনার ক্ষমতা নেই। ফলে স্মার্টফোনে রেডিও থাকলে তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে পারবেন।
ইন্ডিয়ান সেলুলার অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স অ্যাসোসিয়েশন (Indian Cellular and Electronics Association (ICEA) এবং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ফর ইনফরমেশন টেকনোলজি(Manufacturers' Association for Information Technology (MAIT)-কে নির্দেশিকায় জানিয়েছে, স্মার্টফোনে এফএম রেডিও রাখতেই হবে যাতে বিপর্যয় ও জরুরি অবস্থায় তথ্য পাঠানো যেতে পারে। গরিবদের এফএম পরিষেবা দেওয়ার পাশাপাশি কঠিন সময়ে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবেও ব্য়বহৃত হতে পারে রেডিও।
তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রক নির্দেশিকায় জানিয়েছে,'স্মার্টফোন উৎপাদনের সময় ইনবিল্ড এফএম রেডিও রাখতে হবে। তা বন্ধ করে রাখলে হবে না। বরং স্মার্টফোনে এফএম রেডিও সক্রিয় রাখতে হবে। যে সব স্মার্টফোনে এফএম রেডিও নেই সেগুলিতে এটি রাখতে হবে।'
কেন্দ্রের মতে, বিগত বছরগুলিতে স্মার্টফোন থেকে গায়েব হতে শুরু করেছে এফএম রেডিও। এর ফলে সমস্যায় পড়েছেন গরিবরা। ফ্রি-তে এমএফ শোনেন তাঁরা। সেই সঙ্গে বিপর্যয় হলে তাঁদের তথ্যও পাঠাতে পারে সরকার। সেটা সম্ভব হচ্ছে না। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় দ্রুত যোগাযোগের জন্য রেডিও অত্যন্ত সহায়ক মাধ্যম বলেও মনে করিয়ে দিয়েছে তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রক।