বেসরকারি খাতে কর্মরত কর্মীদের অনেকরই গ্র্যাচুইটি সম্পর্কে সম্পূর্ণ বা সুস্পষ্ট ধারণা নেই। কোনও কর্মী একটি সংস্থায় ৫ বছর ধরে কাজ করলে গ্র্যাচুইটি পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেন।
কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার এই সময় কমিয়ে ৩ বছর করার কথা ভাবছে। এটা হলে বেসরকারি খাতে কর্মরত কর্মচারীদের পেশাগত নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হবে। দেশের কয়েক কোটি বেসরকারি খাতে কর্মরত কর্মীরা উপকৃত হবেন।
সাধারণত যখন একজন কর্মচারী চাকরি ছেড়ে দেন বা তাকে চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় বা তিনি অবসর নেন, তখন তিনি তাঁর গ্র্যাচুইটির টাকা পান। কোনও কারণে কর্মচারীর মৃত্যু হলে তখন ওই টাকা তার মনোনীত ব্যক্তি পাবেন।
গ্র্যাচুইটি পেমেন্ট অ্যাক্ট ১৯৭২-এর নিয়ম অনুযায়ী, একজন কর্মচারী সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত গ্র্যাচুইটি পেতে পারেন। গ্র্যাচুইটির পুরো টাকাই কর্মীদের তাঁদের নিয়োগকর্তা দেয়।
যে কোনও কোম্পানি, কারখানা, প্রতিষ্ঠান যেখানে ১০ বা তার বেশি কর্মচারী গত ১২ মাসে যে কোনও একদিনে কাজ করেছেন তারা গ্র্যাচুইটি পেমেন্ট আইনের আওতায় আসবে।
একবার এই আইনের আওতাভুক্ত হলে কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানকে তার আওতার মধ্যে থাকতে হবে। কোম্পানিতে কর্মচারীর সংখ্যা ১০-এর কম হলেও, এটি এখনও আইনের আওতায় থাকবে।
গ্র্যাচুইটি পেমেন্ট অ্যাক্ট ১৯৭২-এ, কর্মীদের দ্বারা প্রাপ্ত গ্র্যাচুইটির পরিমাণের সূত্র নির্ধারণের জন্য কর্মচারীদের দুটি বিভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। প্রথম ক্যাটাগরিতে ওই কর্মচারীরা এই আইনের আওতাভুক্ত, দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে আইনের বাইরে থাকা কর্মচারীরা। বেসরকারী এবং সরকারী খাতে কর্মরত উভয় ধরণের কর্মচারী এই দুটি বিভাগে অন্তর্ভুক্ত।
কীভাবে গ্র্যাচুইটি হিসাব করবেন?
মোট গ্র্যাচুইটির পরিমাণ = (শেষ প্রাপ্ত বেতন) x (১৫/২৬) x (কত বছর কোম্পানিতে কাজ করেছেন)। এই সূত্রে, এক মাসে ২৬ কার্যদিবস ধরে নিলে, কর্মচারীকে 1১৫ দিনের গড় নিয়ে বেতন দেওয়া হয়।