আগামী ৩১ মার্চ চলতি অর্থবর্ষ শেষ হবে। একইসঙ্গে বেশ কিছু অনেক আর্থিক কাজকর্মের সময়সীমাও শেষ হয়ে যাবে। আপনিও যদি চলতি আর্থিক বছরের জন্য আয়কর বাঁচাতে চান, তাহলে বিশেষ কিছু স্কিমে বিনিয়োগ করে কর বাঁচাতে পারেন। এই স্কিমগুলির মধ্যে রয়েছে NPS থেকে শুরু করে ট্যাক্স সেভিং মিউচুয়াল ফান্ড। ৩১ মার্চ পেরিয়ে গেলেও, নতুন অর্থবর্ষের শুরুতেই এই স্কিমগুলিতে বিনিয়োগ করে রাখতে পারেন। এর ফলে কর বাঁচাতে পাবেন। ঠিক কোথায় কোথায় বিনিয়োগ করা যেতে পারে? আসুন জেনে নেওয়া যাক।
পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (PPF): কর বাঁচানোর জন্য একটি ভাল অপশন। দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের জন্য এটি বেশ ভাল। পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ডে (PPF) টাকা জমা করে আপনি আয়করের 80C-ধারার অধীনে ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর সাশ্রয় করতে পারেন। এই স্কিমে প্রতি বছর 1.5 লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারেন এবং ৭.১ শতাংশ সুদ পেতে পারেন। এই স্কিমের মেয়াদপূর্তির সময়কাল ১৫ বছর এবং তারপর আরও ৫ বছর বাড়ানো যেতে পারে।
ন্যাশানাল পেনশন সিস্টেম (NPS)
জাতীয় পেনশন সিস্টেম অবসর গ্রহণের জন্য তহবিল তৈরি করতে সাহায্য পারে। NPS-এ বিনিয়োগ করে আয়করের 80CCD (1B) ধারার অধীনে ৫০,০০০ টাকার অতিরিক্ত করও বাঁচাতে পারেন। এটি বাজারের সঙ্গে যুক্ত একটি স্কিম। এতে পরবর্তীকালে পেনশন হিসাবে টাকা রিটার্ন পাবেন।
সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা
মেয়েদের আর্থিক নিরাপত্তার জন্য সরকার সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা (SSY) চালু করেছিল। আপনি আপনার মেয়ের নামে এই স্কিমে বিনিয়োগ করে কর ছাড়ের সুবিধা পেতে পারেন। এই স্কিমের অধীনেও, আপনি 80C ধারার অধীনে ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় ক্লেম করতে পারেন। এই প্রকল্পের অধীনে সরকার ৮.২% রিটার্ন দেয়।
ট্যাক্স সেভিংস মিউচুয়াল ফান্ড
যাঁরা ইক্যুইটি মার্কেটে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করছেন তারাও কর ছাড় পেতে পারেন। ELSS মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করে ট্যাক্স পেতে পারেন। এটি ট্যাক্স সেভিং মিউচুয়াল ফান্ড নামেও পরিচিত। এছাড়া SIP-তে বিনিয়োগ করেও কর ছাড় ক্লেম করতে পারেন।
ট্যাক্স সেভিংস FD
নিরাপদ, ঝুঁকিহীন বিনিয়োগের জন্য এতে টাকা রাখতে পারেন। ব্যাঙ্ক এবং স্মল ফাইন্যান্স ব্যাঙ্কে এই ধরণের FD করাতে পারবেন। বিশেষত প্রবীণ নাগরিকরা এই স্কিমে বিনিয়োগ করে কর ছাড় ক্লেম করতে পারেন। ৫ বছরের FD তে বিনিয়োগ করে আয়করের 80C ধারার অধীনে ১.৫ লক্ষ টাকার কর ছাড় পাওয়া যেতে পারে।