Profitable Business Ideas, Cage Culture Fish Farming: সারা বিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও আধুনিক পদ্ধতিতে মাছের চাষ বাড়ছে। মাছের তেল হোক বা মাছ থেকে তৈরি অন্যান্য পণ্য— বাজারে এই সব জিনিসের চাহিদা অনেক বেড়েছে। শুধু ভারতেই প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ মাছ খান। এই কারণেই বেশিরভাগ রাজ্যে কৃষির পাশাপাশি মাছ চাষের ক্ষেত্রেও দ্রুত বিকাশ ঘটছে।
মাছ চাষীদের জন্য এমন একটি কৌশল (New Fish Farming Technique) ইদানীং কাজে লাগানো হয়েছে, যার মাধ্যমে কম খরচে মাছ চাষ করে অবিশ্বাস্য আয় করা যাচ্ছে। এই আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষের জন্য পুকুর না থাকলেও চলবে। কারণ, এই পদ্ধতিতে খাঁচায় মাছ চাষ (Cage Culture Fish Farming) করা হচ্ছে, যা মেরিকালচার নামেও পরিচিত।
আরও পড়ুন: মাত্র ৫ হাজার টাকা মূলধনে মাসে ৫০ হাজার টাকা আয়, দুর্দান্ত ব্যবসা
খাঁচা মাছ চাষ কীভাবে করবেন?
এই পদ্ধতিতে প্রথমে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পালনের জন্য খাঁচা তৈরি করা হয়। এই খাঁচাগুলির দৈর্ঘ্য মোটামুটি ২.৫ মিটার, প্রস্থ ২.৫ মিটার এবং উচ্চতা কমপক্ষে ২ মিটার। এই খাঁচায় মাছের চারা রাখার পর বাক্সের চারপাশে সামুদ্রিক আগাছাও লাগানো হয়। সামুদ্রিক আগাছা মানে জলজ উদ্ভিদ, যা শুধুমাত্র জলেতে জন্মায়। বাজারে মাছের পাশাপাশি সামুদ্রিক আগাছারও প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এভাবে খাঁচা মাছ চাষের পাশাপাশি সামুদ্রিক শৈবাল চাষ করলে স্বল্প খরচে দ্বিগুণ উৎপাদন পাওয়া যায় এবং কৃষকরাও অনেক লাভবান হন।
খাঁচায় মাছ চাষের বাড়তি সুবিধা:
খাঁচায় মাছ চাষের কৌশল কাজে লাগালে মাছের বিকাশ দ্রুত হয়, মাছ কম সময়ে বেড়ে ওঠে।
মাছ চাষিরা বিভিন্ন খাঁচায় বিভিন্ন জাতের মাছ পালন করে দ্বিগুণ লাভ করতে পারেন।
এভাবে খাঁচায় মাছ লালন-পালন করলে কম জলে বেশি উৎপাদনের সুবিধা পাওয়া যায়।
এই কৌশলে মাছগুলি সুস্থ এবং নিরাপদ থাকে এবং মাছের খুব বেশি যত্নের প্রয়োজন হয় না।
খাঁচায় চাষের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনার কাজগুলো সহজ হয়ে যায় এবং বারবার জল পরিবর্তনের সমস্যা থাকে না।
পুকুরে মাছের চাষে ঠিকমতো দেখভালের সুযোগ থাকে না। তাছাড়া, খোলা পরিবেশে মাছ চুরির আশঙ্কাও থেকে যায়। খাঁচায় মাছ চাষের ক্ষেত্রে সেই আশঙ্কা নেই।
খাঁচায় মাছ চাষ করে কম ঝুঁকিতে প্রচুর মাছ উৎপাদন করে মোটা টাকা উপার্জন করা যায়।