Wheat Prices: গম নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ১৫ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো, সরকার ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত গম মজুতে ঊর্ধ্বসীমা আরোপ করেছে যাতে গমের দাম বৃদ্ধি রোধ করা যায়। সরকার ওপেন মার্কেট সেল স্কিম (OMSS) এর অধীনে প্রথম পর্যায়ে কেন্দ্রীয় পুল থেকে ভোক্তা এবং ব্যবসায়ীদের কাছে ১.৫ মিলিয়ন টন গম বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গমের দাম বাড়ছে
খাদ্য সচিব সঞ্জীব চোপড়া সাংবাদিকদের বলেন, গত মাসে গমের দাম বেড়েছে। মন্ডি পর্যায়ে দাম বেড়েছে প্রায় ৮ শতাংশ। পাইকারি ও খুচরো বাজারে তেমন দাম না বাড়লেও সরকার গমের মজুদের সীমা বেঁধে দিয়েছে।
৩১ মার্চ, ২০২৪ পর্যন্ত সীমা আরোপ করা হয়েছে
খাদ্য সচিব সঞ্জীব চোপড়া বলেন, গত মাসে গমের দাম বেড়েছে। মান্ডি পর্যায়ে দাম প্রায় ৮ % বৃদ্ধি পেয়েছে। পাইকারি ও খুচরা বাজারে তেমন দাম না বাড়লেও সরকার গমের মজুদের সীমা বেঁধে দিয়েছে। এই 'স্টক লিমিট' ব্যবসায়ী, পাইকারি বিক্রেতা, খুচরো বিক্রেতা, বড় খুচরো চেইন বিক্রেতা এবং প্রসেসরদের উপর ৩১ মার্চ, ২০২৪ পর্যন্ত আরোপ করা হয়েছে।
গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকবে
গমের আমদানি শুল্ক কমানোর বিষয়ে সচিব বলেন, দেশে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় নীতি পরিবর্তনের কোনো পরিকল্পনা নেই। গম রফতানির ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে বলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন। তিনি বলেছেন, দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ গমের মজুদ রয়েছে। কৃষক ও ব্যবসায়ীদের কাছে মজুদ রয়েছে, সেইসঙ্গে কিছু অসামাজিক ব্যক্তিদের কাছেও মজুদ রয়েছে। দেশে গমের ঘাটতি না থাকায় আমরা আমদানির কথা ভাবছি না।
২৮ জুন থেকে OMSS এর মাধ্যমে গম নিলাম
২৮ জুন থেকে খোলা বাজারে বিক্রয় প্রকল্পের মাধ্যমে গম নিলাম করা হবে। প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরেই বাড়ছে গমের দাম। সরকারের চেষ্টার পরও দাম কমছে না। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ও সরবরাহ বাড়াতে মজুদ সীমা আরোপ করা হয়েছে।
স্টক সীমা
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ও সরবরাহ চুক্তি পূরণের জন্য সরকার মজুদের সীমা আরোপ করেছে। পাইকারদের জন্য ৩ হাজার মেট্রিক টন এবং খুচরো বিক্রেতাদের জন্য ১০ হাজার মেট্রিক টন মজুদের সীমা আরোপ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে বাজারে গমের কৃত্রিম সংকট কমানোই সরকারের লক্ষ্য। সরকার বলছে, আমদানিতে কোনো ঘাটতি নেই। সরকার মনে করে মজুদকারীরা ইচ্ছাকৃতভাবে গম মজুদ করছে অথবা কোথাও কালোবাজারি করা হচ্ছে।
চাল খালাসের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে
তিনি বলেন, গম ছাড়াও সরকার ওএমএসএসের আওতায় চাল খালাস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং এর পরিমাণ পরে চূড়ান্ত করা হবে। সেইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, চিনি রফতানির অনুমতি দেওয়ার কোনো প্রস্তাব নেই।