Dragon Fruit Farming, Business Ideas: আপনি যদি চাষের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি ব্যবসা খুঁজছেন, তবে এই খবরটি আপনার জন্য খুব কার্যকর হতে পারে। আজ প্রতিটি মানুষ তার কাজ এবং তার ব্যবসা করতে চায়। আপনি যদি কৃষিকাজ করতে চান, তবে এই এই ফলের চাষ আপনার জীবনকে বদলে দিতে পারে। আসলে ড্রাগন ফলের চাষ এখন বেশ লাভজনক প্রমাণিত হয়েছে। বর্তমানে দেশের পাশাপাশি বিদেশেও এই ফলের চাহিদা অনেক বেড়েছে। যার কারণে আপনি কম সময়ে ভালো মুনাফা অর্জন করতে পারবেন। এর পাশাপাশি কেন্দ্র সরকারও আপনাকে এই কাজে খরচ যোগাতে সাহায্য করবে। চলুন এ বিষয়ে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক...
ড্রাগন ফল প্রচুর ফাইবার ও পুষ্টিগুণে ভরপুর। এই কারণে চিকিৎসকরাও এটি রোগীকে খেতে বলেন। ফলে এখন ড্রাগন ফলের চাহিদা এখন অনেকটাই বেড়েছে। এখন পর্যন্ত ভারতের মাত্র কয়েকটি রাজ্যে এই ফলের চাষ হচ্ছে। তাই আপনার কাছে এখনও সুযোগ আছে, যা কাজে লাগাতে পারলে মোটা মুনাফা ঘরে তোলা সম্ভব।
ড্রাগন ফলের চাষ করার পদ্ধতি:
ড্রাগন ফল চাষের জন্য বিশেষ কোনও পরিবেশের প্রয়োজন হয় না। এমনকি খুব বেশি বৃষ্টির প্রয়োজন হয় না। এর গাছপালা বাড়াতে মাটির গুণাগুণ খুব একটা ভালো না, তারপরেও চলবে। ড্রাগন ফলের গাছগুলিতে খুব বেশি সূর্যালোকের প্রয়োজন হয় না। এজন্য আপনাকে গাছের উপরে একটি চালা দিতে হবে। জানা যায়, বর্তমানে উত্তর ভারতের উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, পাঞ্জাব, হিমাচল, হরিয়ানা, উত্তরাখন্ড প্রভৃতি রাজ্যের কৃষকরা ড্রাগন ফলের চাষ করছেন। বাংলাতেও গত ২-৩ বছর ধরে এই ফলের চাষ আর চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে।
সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে:
ড্রাগন ফলের মতো বিদেশী ফল ও সবজি চাষের জন্য কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার আর্থিক অনুদান পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ শতাংশ খরচ জোগায় সরকার। গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়ে এখন বিভিন্ন জেলায় চাষ হচ্ছে ড্রাগন ফলের। লাভের মুখ দেখছেন শিলিগুড়ির ড্রাগন ফল চাষিরা। ফলে এই চাষ দিশা দেখাচ্ছে নতুন কর্মসংস্থানের। মাত্র ১৭-১৮ মাসের গাছে ফল ধরতে শুরু করে। প্রথম বার একটি ড্রাগন ফলের গাছ থেকে মোটামুটি ১৮-২০টি ফল পাওয়া যায়। এক বার এই গাছ লাগালে টানা ২০-২৫ বছর ড্রাগন ফল পাওয়া যায়।