সোমবার শেয়ার বাজারে ভূমিকম্পের মধ্যে হঠাৎ করেই সোনার দামে ব্যাপক পতন লক্ষ্য করা গেছে। সাধারণত শেয়ারবাজারে যখন অনিশ্চয়তার পরিবেশ থাকে তখন সোনার দাম বেড়ে যায়। তবে গত কয়েকদিন ধরে পুঁজিবাজারে দরপতনের পাশাপাশি সোনার দামেও চাপ বাড়ছে।
বিশ্ববাজারে সোনার দাম
বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতের সোনার বাজারে পতনটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। আমেরিকা, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান ও চিনের বাজারে একধরনের ভূমিকম্প হয়েছে। বিশ্ব পুঁজিবাজারেও সোনার দাম স্থিতিশীল নেই। সোমবার সন্ধ্যায়, MCX ফিউচারে সোনা ১ শতাংশ কমে ৬৯,৫৬৫ টাকা প্রতি ১০ গ্রাম লেনদেন করছে।
ভারতে সোনার দাম
ভারতে সোমবার সন্ধ্যায় ইন্ডিয়া বুলিয়ন অ্যান্ড জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (IBJA) ওয়েবসাইটে ২৪ ক্যারেট ১০ গ্রাম সোনার দাম ছিল ৬৯,১১৭ টাকা। যেখানে সকালে প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম ছিল ৬৯,৬৯৯ টাকা। এর আগে শুক্রবার সোনার দাম ছিল ৭০,৩৯২ টাকা। ফলে সোমবার সন্ধ্যায় সোনার দাম ৫৮২ টাকা কমেছে, যেখানে শুক্রবারের তুলনায় ১০ গ্রাম ২৪ ক্যারেট সোনার দাম ১,২৭৫ টাকা কমেছে।
সোনার দাম কমার প্রভাব
সোনার দাম কম হওয়ায় ক্রেতারা দারুণ সুযোগ পেয়েছেন, বিশেষ করে বিয়ের মরসুমে গয়না কেনার জন্য। গত মাসেই বাজেটে সোনার ওপর শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬ শতাংশ করা হয়, যার ফলে সোনার দামে পতন শুরু হয়। জুয়েলার্সরা বিভিন্ন অফার দিয়ে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে, যেমন সোনার গয়না তৈরির চার্জে ২০ থেকে ৪০ শতাংশ ছাড়।
রুপোর দামেও পতন
সোমবার রূপার দামেও ব্যাপক পতন হয়েছে। প্রতি কেজি রূপোর দাম কমেছে ৪৫৫১ টাকা। বর্তমানে ৯৯৯ বিশুদ্ধতার এক কেজি রুপোর দাম ৭৮৯৫০ টাকা। যেখানে শুক্রবার বাজার বন্ধ হওয়া পর্যন্ত রুপোর দাম ছিল প্রতি কেজি ৮৩৫০১ টাকা।
সোনা চোরাচালান বন্ধ হবে?
বিশেষজ্ঞদের মতে, সোনার ওপর শুল্ক কমানোর সবচেয়ে বড় সুবিধা হবে এর চোরাচালান বন্ধে। দেশের প্রায় ১৫ শতাংশ সোনা চোরাচালানের মাধ্যমে বাজারে আসে। শুল্ক কমানো অবৈধ আমদানি রোধে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন শিল্প সংশ্লিষ্টরা।