বৈদ্যুতিক গাড়ির মালিকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ খবর সামনে এসেছে। পাবলিক চার্জিং স্টেশনগুলোতে বৈদ্যুতিক যানবাহন চার্জ করার ক্ষেত্রে ১৮ শতাংশ জিএসটি (GST) আরোপ বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারের জিএসটি প্যানেলের ফিটমেন্ট কমিটি এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে এবং পাবলিক চার্জিং স্টেশনের উপর জিএসটি কমানোর দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। ফলে, বৈদ্যুতিক গাড়ির মালিকদের পাবলিক চার্জিং স্টেশনগুলোতে গাড়ি চার্জ করার জন্য বাড়তি অর্থ ব্যয় করতে হবে।
শিল্পমহল থেকে দাবি করা হচ্ছিল যে, বিদ্যুৎ সরবরাহের উপর জিএসটি ছাড় দেওয়া হয়েছে, তাই পাবলিক চার্জিং স্টেশনে বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করার ক্ষেত্রেও এই ছাড় দেওয়া উচিত। কিন্তু, কর্ণাটক অথরিটি ফর অ্যাডভান্স রুলিং (AAR) সিদ্ধান্তে জানায় যে, পাবলিক চার্জিং স্টেশনগুলোর ক্ষেত্রে শুধুমাত্র বিদ্যুৎ সরবরাহ নয়, বরং চার্জিং-এর জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য সুবিধা এবং পরিষেবাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই কারণেই এখানে ১৮ শতাংশ জিএসটি আরোপ করা যথার্থ বলে বিবেচিত হয়েছে।
বিদ্যুৎ মন্ত্রক স্পষ্ট করেছে যে, বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি চার্জ করা একটি পরিষেবা যা বিদ্যুৎ খরচ করে, কিন্তু এটিকে বিদ্যুতের বিক্রির সঙ্গে একরূপ করা যাবে না। এই পার্থক্যকে ভিত্তি করেই ফিটমেন্ট কমিটি বিদ্যমান জিএসটি হার বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ফলস্বরূপ, যারা তাদের ইলেকট্রিক গাড়ি সাধারণত পাবলিক চার্জিং স্টেশনগুলোতে চার্জ করেন, তাদের এখন থেকে এই পরিষেবার জন্য ১৮ শতাংশ জিএসটি দিতে হবে। এটি বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহারকারীদের জন্য একটি বড় ধাক্কা হতে পারে, কারণ এটি তাদের খরচকে বাড়িয়ে দেবে এবং ইলেকট্রিক গাড়ি ব্যবহারের প্রণোদনাকে কিছুটা কমিয়ে দিতে পারে।