Hilsa Price in Kolkata: মেঘলা দিনে বাঙালির পাতে ইলিশ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন মাছ সরবরাহকারী থেকে বিক্রেতারা। কারণ, ভরা বর্ষায় আকাল ইলিশের জোগানে। ফলে ফের ‘ঝাঁপি’ থেকে বেরিয়ে পড়েছে বরফ-চাপা বাসি মাছ। এছাড়া, ওড়িশা-গুজরাতের অপেক্ষাকৃত ‘দামি’ ইলিশ দিয়েই বাজারের চাহিদা মেটাচ্ছেন মাছ ব্যবসায়ীরা।
ইলিশের জোগানে ঘাটতির কারণ কী?
হাওড়া-কলকাতার পাইকারি মাছ সরবরাহকারী আদিত মজুমদার জানান, নিম্নচাপ আর খারাপ আবহাওয়ার কারণে গত সপ্তাহ দুয়েক ধরে জেলে-মাঝিরা এখন মাছ ধরতে যেতে পারছেন না। স্বাভাবিক ভাবেই টাটকা ইলিশের স্থানীয় জোগানে টান পড়েছে। জোগানের অভাবে মাছের দাম হু হু করে বাড়ছে। আদিত মজুমদার বলেন, “নিম্নচাপের কারণে আগামী দুই-তিন দিন মাছ ধরা যাবে না। আবহাওয়া ঠিক না হওয়া পর্যন্ত ইলিশের জন্য জাল ফেলা যাবে না। তাছাড়া, এখন বঙ্গপোসাগরের জলে বিপরীতমুখী স্রোতের কারণে মাছ ধরা প্রায় অসম্ভব। তাই সব মিলিয়ে টাটকা মাছ ফের কবে তোলা যাবে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়।”
কতটা বেড়েছে ইলিশের দাম?
দিঘা, বকখালি, কাকদ্বীপ, নামখানা, ডায়মন্ড হারবারে ইলিশ ধরা প্রায় বন্ধ থাকায় মানিকতলা, পাতিপুকুর, বালিগঞ্জের মাছের বাজারে ইলিশের দর কেজিতে অন্তত শ’দুয়েক টাকা বেড়ে গিয়েছে। মানিকতলা-বালিগঞ্জের বাজারে মোটামুটি ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ এখন ৭৫০-৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মোটামুটি ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮৫০-৯০০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া, ৯০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ওজনের ইলিশের দর এখন ১,৫০০-১,৬০০ টাকা। আর এক কেজির বেশি ওজনের মাছের দর শুরু হচ্ছে ১,৮০০-২,০০০ টাকা থেকে। মাছের ওজন আর মানের ভিত্তিতে ইলিশের দামের সামান্য হের ফের হচ্ছে শহরের বিভিন্ন বাজারে। লেক মার্কেট, ড়িয়াহাট, কসবা বাজারে মাছের দর আরও কিছুটা বেশি।
বালিগঞ্জের এক মাছ ব্যবসায়ী মুকুল সরকার জানান, হিমঘরের মাছ আর ওড়িশা-গুজরাত থেকে আসা ইলিশ দিয়েই চাহিদা মেটাতে হচ্ছে। তবে এই সব মাছের ওজন সাড়ে সাতশো-আটশো গ্রামের কম নয়। এই সব মাছের দামও ৮৫০-৯০০ টাকা কেজি বা তারও বেশি। তবে এই সব ইলিশের আকার-আকৃতি খুব নজরকাড়া হলেও স্বাদ তেমন ভাল নয়।