ভবিষ্যৎকে আর্থিকভাবে সুরক্ষিত করতে বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয় প্রকল্পে বিনিয়োগ করেন চাকরিজীবীরা। এর মধ্যে অন্যতম পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড। দেশের জনপ্রিয়তম প্রকল্পগুলির মধ্যে এটা অন্যতম। সাধারণ ভাষায় একে বলা হয় পিপিএফ। এই সরকারি প্রকল্পে বার্ষিক কমপক্ষে ৫০০ টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন। সর্বাধিক বিনিয়োগের পরিমাণ ১.৫ লক্ষ টাকা। বর্তমানে সরকার পিপিএফ-এ প্রতি বছর ৭.১ শতাংশ হারে সুদ দিচ্ছে। পিপিএফ-এর লকিং পিরিয়ড ১৫ বছরের। তবে আপনি ১৫ বছরের আগেও যে কোনও জরুরি অবস্থায় PPF থেকে টাকা তুলতে পারেন সঞ্চয়কারীরা।
কে পিপিএফ-এ বিনিয়োগ করতে পারে?
পোস্ট অফিস-সহ দেশের প্রায় সব সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্কে পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। এর জন্য ভারতীয় নাগরিক হওয়া প্রয়োজন। অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুদের নামেও পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খোলা যেতে পারে। এর জন্য অভিভাবক থাকা প্রয়োজন। সন্তানের অ্যাকাউন্ট থেকে উপার্জন পিতামাতার আয়ের সঙ্গে যুক্ত করা হয়।
সাত বছর পরে PPF অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার অনুমতি মেলে। এই স্কিমে বিনিয়োগ করার সময় মাথায় রাখতে হবে যে বছর পিপিএফে বিনিয়োগ শুরু হচ্ছে সেই বছরকে ১৫ বছরের ম্যাচিওরিটির মধ্যে ধরা হয় না।
কত টাকা তোলা যাবে?
PPF অ্যাকাউন্ট থেকে আংশিক টাকা তোলা যাবে। সেটাও বিনিয়োগের ৭ বছর পরে। তা-ও অ্যাকাউন্টে জমা টাকার ৫০ শতাংশই তুলতে পারবেন সঞ্চয়কারীরা। বছরে মাত্র একবার টাকা তোলা যাবে। যে টাকা তোলা হবে তা আসবে আয়করের আওতায়।
টাকা তোলার জন্য কী করতে হবে
পিপিএফ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার জন্য ফর্ম সি জমা দিতে হবে। তা পাওয়া যাবে ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসে। ফর্মে নিজের অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং যে পরিমাণ টাকা তুলতে চান তা উল্লেখ করতে হবে। এ ছাড়া একটি রেভিনিউ স্ট্যাম্পও লাগবে। তার পর পাসবুকের সঙ্গে জমা দিতে হবে। প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হওয়ার পরে ওই টাকা অ্যাকাউন্টে চলে যাবে।
দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের জন্য পিপিএফ একটি দারুণ বিকল্প। পিপিএফ অ্যাকাউন্টটি তিন বছর চালিয়ে ঋণও নিতে পারেন। অ্যাকাউন্ট খোলার তৃতীয় বছর থেকে ষষ্ঠ বছরের মধ্যে ঋণ নেওয়ার সুবিধা পাওয়া যায়।