ইএমআই-তে সুদের হার কমার অপেক্ষায় থাকলেও ইচ্ছেপূরণ এখনই নয়। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াতে ৬ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি আরবিআই-এর ঋণনীতি কমিটির বৈঠক হতে চলেছে। সেখানে সুদের হার প্রসঙ্গে পর্যালোচনা হতে পারে। টানা ষষ্ঠবার সুদের হারে কোনও পরিবর্তন হবে না বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। বর্তমানে রেপো রেট ৬.৫ শতাংশে রয়েছে এবং ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩-এ ২৫ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধির পর থেকে এক বছর ধরে একই অবস্থায় রয়েছে।
সুদের হার কি টানা ষষ্ঠবারের মতো স্থিতিশীল থাকবে?
এর আগে, মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভও বেঞ্চমার্ক হারে কোনও পরিবর্তন করেনি। সেখানেও সুদের হার ৫.২৫ থেকে ৫.৫ শতাংশ রাখা হয়েছে। বাজার অনুমান করছে, মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক চলতি বছরের মার্চ থেকে সুদের হার কমানো শুরু করতে পারে। ভারতে সুদের হার কমানোর কোনও সম্ভাবনা নেই কারণ এখানে মুদ্রাস্ফীতির হার ডিসেম্বরে চার মাসের সর্বোচ্চ ৫.৬৯ শতাংশে পৌঁছেছিল। ডাল, মশলা, ফলমূল ও শাকসবজির মতো খাদ্যদ্রব্যের উচ্চমূল্যের কারণে এই বৃদ্ধি হয়েছে। যদিও এই হার RBI-এর ২-৬ শতাংশের সীমার মধ্যে, তবুও এটি ৪ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি।
মুদ্রাস্ফীতির হার ইএমআই সুদের হার কমানোর পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়!
আরবিআই-এর শেষ পর্যালোচনায় বলা হয়েছিল, অক্টোবর-ডিসেম্বরের শেষে মুদ্রাস্ফীতির হার হতে পারে ৫.৬ শতাংশ এবং জানুয়ারি-মার্চ শেষে ৫.২ শতাংশ।
অর্থমন্ত্রকের সাম্প্রতিক পর্যালোচনা অনুযায়ী, দেশ আগামী কয়েক বছরে ৭ শতাংশের বেশি উন্নতি অর্জন করবে। আগামী ৩ বছরে ৫ ট্রিলিয়ন ডলার নিয়ে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে।
নগদ অর্থের সঙ্কট
তবে, ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় নগদ সঙ্কট কমাতে আরবিআই কিছু ঘোষণা করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
জুনের পর সুদের হার কমবে?
ইএমআই হ্রাসের অপেক্ষা আপাতত শেষ হবে না। রয়টার্সের একটি সমীক্ষাতেও দাবি করা হয়েছে, হোম লোন গ্রাহকরা এই বছরের জুন পর্যন্ত কোনও পরিত্রাণ পাবেন না। তবে চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধ অবশ্যই স্বস্তির খবর নিয়ে আসতে পারে।