Chief Minister Farmer Accident Welfare Scheme: চিফ মিনিস্টার ফারমার অ্যাক্সিডেন্ট ওয়েলফেয়ার স্কিম। ভারতীয় অর্থব্যবস্থার বিকাশে এবং অর্থনৈতিক ভিতকে ধরে রাখতে কৃষকদের গুরুতর অবদান রয়েছে। লকডাউনে যখন সমস্ত সেক্টর বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, তখন কৃষকেরা অর্থব্যবস্থাকে প্রথম থেকে রক্ষা করেছে। লাগাতার পরিশ্রম করে এ পরিস্থিতিতে সরকার কৃষকদের আয় বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন স্কিম ঘোষণা করেছে।
তাদের জীবনের স্তর আরও ভালো করার জন্য সমস্ত রকম প্রকার স্কিম রয়েছে। বেশ কিছুবার এমন খবর সামনে এসেছে যে চাষাবাদ করার সময় কৃষকরা দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গেলে তাদের মৃত্যু হয়ে যায়। এতে ওই কৃষকদের পরিবারের ওপর মাথায় বাজ ভেঙে পড়ে। যদিও কৃষকেরা এবং তার পরিবার আশ্রয় দেওয়ার জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকার মুখ্যমন্ত্রী কিষাণ দুর্ঘটনা কল্যাণ যোজনা অনুসারে সাহায্য করে।
কোন পরিস্থিতিতে যোজনার লাভ পাবেন?
যদি কোনও কৃষক চাষাবাদ করার সময় খেতে ক্লান্ত হয়ে কাজের মধ্যে মৃত্যু হয়ে যায়, কিংবা শারীরিকভাবে যদি বিকলাঙ্গ হয়ে যান, তাহলে তার পরিবারের সদস্যরা ক্ষতিপূরণের রূপে একটা মোটা অঙ্কের টাকা পাবেন। এই যোজনার অনুসারে চাষাবাদ করতে গিয়ে কৃষকরা যদি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন, তাহলে তার পরিবার পাঁচ লাখ টাকা এবং বিকলাঙ্গ হয়ে গেলে দু লাখ টাকা অনুদান হিসেবে পাবেন।
কৃষক মারা গেলে কারা পাবেন এই যোজনার লাভ?
যদি কৃষকেরা এই লাভ নিতে চান, তাদের স্ত্রী, মেয়ে, নাতি, ছেলে, মা-বাবা ছাড়া যারা ওই চাষের অর্থে প্রতিপালিত হন, তাঁরা সমস্ত এই সুবিধা পাবেন। এ ছাড়া এই যোজনায় লোন নেওয়ার জন্য কৃষকদের বয়স ১৮ থেকে ৭০ বছর পর্যন্ত হতে হবে।
কত দিনের মধ্যে কোথায় ফর্ম ভরতে হবে?
এখন কৃষকদের মৃত্যু যদি হয়ে যায় এবং কৃষকেরা যদি বিকলাঙ্গ হয়ে যায়, তাহলে কৃষকের পরিবারকে তা সদস্যদের দুর্ঘটনার ৪৫ দিনের মধ্যে ফর্ম ভরে নিকটবর্তী জেলাশাসক অথবা বিডিও অফিসে গিয়ে জরুরি তথ্য এবং এই ফর্ম জমা করতে হবে। এছাড়াও যদি দেরি হয়ে যায় তাহলে জেলাশাসকের কাছে গিয়ে একটা অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম সই করিয়ে নিয়েছে সাবমিট করতে পারেন। এরপর সরকার সেই আবেদন যাচাই করবে এবং তারপর কৃষকদের পরিবারের একাউন্টে ওই ক্ষতিপূরণের টাকা পৌঁছে যাবে।