Chandrayaan-3 Journey: মঙ্গলবার ইসরো বিজ্ঞানীরা চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3) পৃথিবীর পঞ্চম এবং শেষ কক্ষপথ চলার প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন। চন্দ্রযান এখন ১,২৭,৬০৯ কিলোমিটার x ২৩৬ কিলোমিটারের কক্ষপথে রয়েছে। এর অর্থ হল চন্দ্রযান এমন একটি উপবৃত্তাকার কক্ষপথে চলছে, যার পৃথিবী থেকে সর্বনিম্ন দূরত্ব ২৩৬ কিলোমিটার এবং সর্বোচ্চ দূরত্ব ১,২৭,৬০৯ কিলোমিটার।
এর আগে ২০ জুলাই, চন্দ্রযান-৩-এর কক্ষপথটি ৭১,৩৫১ কিলোমিটার x ২৩৩ কিলোমিটার ছিল। এখন মহাকাশযানটি পৃথিবীর কক্ষপথ ত্যাগ করবে এবং ৩১ জুলাই এবং ১ অগাস্ট মধ্যরাতে স্লিং শটের মাধ্যমে চাঁদের দিকে এগিয়ে যাবে। চন্দ্রযান-৩ আগামী ৫ অগাস্ট চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছাবে। এটি ২৩ অগাস্ট চাঁদে অবতরণ করবে।
চন্দ্রযান-৩ রয়েছে ল্যান্ডার, রোভার এবং প্রপালশন মডিউল। ল্যান্ডার এবং রোভার চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে এবং সেখানে ১৪ দিন ধরে পরীক্ষা চালাবে। প্রপালশন মডিউল চাঁদের কক্ষপথে অবস্থান করে পৃথিবী থেকে আসা বিকিরণ অধ্যয়ন করবে। এই মিশনের মাধ্যমে ইসরো জানতে পারবে কীভাবে চন্দ্রপৃষ্ঠে ভূমিকম্প হয়। চন্দ্রযান-৩ চাঁদের মাটি নিয়েও গবেষণা করবে।
চন্দ্রযান-৩ বর্তমানে ঘণ্টায় ৪০,৪০০ কিলোমিটার বেগে পৃথিবীর চারপাশে ঘুরছে। এটি আগামী ০১ অগাস্ট ২০২৩-এর মধ্যরাতে ১২টা থেকে সাড়ে ১২টার মধ্যে, লুনার ট্রান্সফার ট্রাজেক্টরিতে পৌঁছাবে। মানে চন্দ্রযান-৩ এবার দীর্ঘ যাত্রায় যাবে। প্রায় পাঁচ দিনের যাত্রার পর অর্থাৎ ৫ অগাস্ট এটি চাঁদের বাইরের প্রথম কক্ষপথে পৌঁছে যাবে।
চন্দ্রযান-৩-এ কোনও জিপিএস সিস্টেম নেই। আসলে মহাকাশে কোনও জিপিএস সিস্টেম কাজ করে না। তাহলে স্যাটেলাইট এবং মহাকাশযান কীভাবে তাদের পথ জানবে? তারা কীভাবে জানে কোন পথে কোন দিকে যেতে হবে? এমন পরিস্থিতিতে মহাকাশযানে লাগানো স্টার সেন্সর মহাকাশযানগুলিকে পথ চেনাতে সাহায্য করে।
চন্দ্রযান-৩-এ অনেক ক্যামেরা রয়েছে। স্টার সেন্সর লাগানো আছে। যার মাধ্যমে চন্দ্রযান-৩ মহাকাশে দিক খুঁজে নেয়। এর জন্য এটি ধ্রুবতারা, নক্ষত্র এবং সূর্যের সাহায্য নেয়। আসলে ধ্রুব তারা মেরু তারকা নামেও পরিচিত। এটি উত্তরের দিক নির্দেশ করে। মানে আপনি যদি এর দিকে যাচ্ছেন তবে আপনি উত্তর দিকে যাচ্ছেন। বিপরীতে, দক্ষিণ এভাবেই পূর্ব ও পশ্চিম দিক নির্ণয় করা হয়।