উইকিপিডিয়া বলছে তাঁর বয়স ৭০ ছুঁইছুঁই। অথচ ওমন পেটানো দোহারা চেহারা দেখে বোঝার উপায় নেই! কথা হচ্ছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের। তাঁর পেটানো চেহারার 'গোপন কথা' ফাঁস করলেন ব্রিটেনের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী ও পেশায় চিকিৎসক লর্ড ওয়েন। রণংদেহি মেজাজের জন্য পরিচিত পুতিন। ওয়েনের দাবি, স্টেরয়েড নেওয়ার কারণেই তিনি আগ্রাসী হয়ে উঠেছেন।
টাইমস রেডিও -র সঙ্গে কথা বলার সময় ওয়েন যুক্তি দেন, পুতিনের চেহারা দেখুন। পুরো বদলে গিয়েছে। গোলগাল হয়েছেন। অনেকে তো বলেন উনি নাকি প্লাস্টিক সার্জারিও করিয়েছেন। আবার এটাও হতে পারে বোটক্স ইঞ্জেকশন নেন রুশ প্রেসিডেন্ট। আমি অবশ্য এটা মনে করি না।
ওয়েনের অভিমত, আর পাঁচটা বডিবিল্ডারদের মতো দেহসৌষ্ঠব ঠিক রাখতে এনাবলিক স্টেরয়েড নেন পুতিন। অথবা কর্টিকোস্টেরয়েড ব্যবহার করেন। স্টেরয়েডেই চেহারায় এই বদল আসে। এই ধরনের পথ্য মানুষকে আগ্রাসী করে তোলে। কমে যায় রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও। ফলে কোভিডেও সহজে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। সেজন্য কোভিডের সময় নিজেকে আলাদা রেখেছিলেন পুতিন। এতে স্পষ্ট, উনি স্টেরয়েড নেন।
প্রসঙ্গত, ৬৯ বছর বয়স হলেও রুশ রাষ্ট্রপতির শরীরে প্রভাব পড়েনি। খালি গায়ে তাঁর ঘোড়সওয়ারের ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে। নজর কেড়েছে তাঁর নির্মেদ চেহারা। বরফ জলে স্নান থেকে সেনা পোশাকে যুদ্ধাভ্যাস- সবেতেই ফিট পুতিন। ঘোড়সওয়ারি, ফুটবল, জুডো, বক্সিং, ব্যাডমিন্টন, হকি নিয়মিত খেলেন। জুডোয় ব্ল্যাকবেল্টেরও অধিকারী রুশ রাষ্ট্রপতি। রিংয়ে লড়াই করতেও দেখা গিয়েছে।