মহামারীর সময় সকলের সময়টা খুব খারাপ যাচ্ছে। তার মধ্যে আবার দোরগোড়ায় বাঙালি সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। এই মন খারাপের সময় সকলেই চাইছেন কিছু ম্যাজিক করে যদি সব ঠিক করে দেওয়া যেত। এরই মাঝে সোশ্যাল মিডিয়ায় হাজির হলেন ভাগ্যের দেবী। শুধু শেয়ার করলেই নাকি বদলে যাবে আপনার ভাগ্য।
সম্প্রতি ফেসবুক সহ আরও কয়েকটি সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই নজরে পড়ছে সাদা জামা পরিহিত বামনাকৃতি এক বৃদ্ধার ছবি। যিনি তাঁর পাকা চুলের উপর পরেছেন টুপি। হাতে ও ঝুড়িতে রাখা অনেকগুলো অদ্ভুত দেখতে পুতুল। জানেন কি এই ভাগ্যের দেবীর আসল সত্য?
Elf Of Luck নামে ভাগ্যের এই দেবী সম্প্রতি ঘুরছে ফেসবুকের এক ওয়াল থেকে অন্য ওয়াল। শুধুমাত্র শেয়ার করলেই নাকী ঘুরে যাবে আপনার ভাগ্যের চাকা। তার মধ্যে অনেকে আবার শেয়ার করে এবং অন্যের কমেন্ট বক্সে নিজের আশা লিখছেন। তাঁদের বিশ্বাস, এভাবেই নাকি পুরণ হবে তাদের মনোবাঞ্ছা, কেটে যাবে খারাপ সময়। কিন্তু কে এই দেবী?
শোনা যাচ্ছে, জার্মানির লোকেরা এই ধরনের জীব বা পুতুলকে সৌভাগ্যের প্রতীক হিসাবে মেনে চলেন। আবার অনেকে মনে করছেন বিষয়টি অনেকটা ফেং শ্যুয়ের মতো। 'Elf' কথার অর্থ একজন ছোট আকৃতির জীব, যার অনেক জাদু করার ক্ষমতা আছে। তাই বলা চলে, Elf Of Luck জীবনে ম্যাজিক করে সুখবর নিয়ে আসতে পারবে। অনেক জায়গায় এই ধরনের পুতুলকে 'ডেভিল' বলা হয় অর্থাৎ যারা মানুষের মনের নেগেটিভ চিন্তাধারা ও খারাপ সত্ত্বা দূর করে তাঁদের জীবনে ফিরিয়ে দেয় পজিটিভিটি। ফলে তাঁদের জীবনে শুভ কিছু হয়।
তবে অনেকে আবার এই ছবি শেয়ার করছেন অন্যদের সচেতন করতে। তাঁদের মতে, এটি দিয়ে এক রকমের ইচ্ছাকৃত ট্রেন্ড ক্রিয়েট করা হয়েছে, যার ফলে শুধুমাত্র সেই পেইজগুলিতে লাইক সংখ্যা বাড়ছে। তারই সঙ্গে অনেকে মনে করেন এটি কেবল কুসংস্কার মাত্র।
এই সমস্ত কিছু দেখে এটা বলাই যায়, আমাদের জীবনে এত খারাপ সময়ের মধ্যে এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ নিজেকে মানসিকভাবে সুস্থ এবং শক্ত রাখা। অন্য কিছুর ওপর নির্ভর না করে নিজেকেই সেই চেষ্টা করে এবং পজিটিভ থেকে জয় করতে হবে যে কোন খারাপ সময়। তাহলে কোনো Elf নয়, নিজেই ঘোরানো সম্ভব হবে ভাগ্যের চাকা।