উত্তরপ্রদেশের আমরোহা জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক তাঁদের ছাত্রদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট লাইক ও শেয়ার করতে এবং তাদের অ্যাকাউন্টে সাবস্ক্রাইব করতে বাধ্য করেছেন বলে অভিযোগ।
ইনস্টাগ্রাম রিলগুলিতে একজন শিক্ষিকা প্রতিদিন স্কুলে শুট করেন, এবং অন্য আরেকজন শিক্ষিকা ভিডিও গুলি ক্যাপচার করে দেন। একটি এমন ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের নাম 'রবিপূজা'। শিক্ষিকারা স্কুলে ডিউটি করার সময় ইনস্টাগ্রামের জন্য কনটেন্ট তৈরি করেন, এমনটাই ছাত্রদের।
ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে লাইক, শেয়ার এবং সাবস্ক্রাইব করতে বাধ্য করা শিক্ষার্থীদের। অভিভাবকরা এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের (ডিএম) কাছে যান। বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন ব্লক শিক্ষা আধিকারিক গঙ্গেশ্বরী আরতি গুপ্তা। আন্নু নামে একজন শিক্ষার্থী বলে, "শিক্ষিকা স্কুলে রিল রেকর্ড করেন এবং ছাত্রদেরকে লাইক ও শেয়ার করার জন্য চাপ দেন। আমরা তা না করলে তিনি আমাদের মারধর করার হুমকিও দেন,"
মনীষা নামে আরেক ছাত্রী অভিযোগ করেন, একজন শিক্ষক ছাত্রদের থালা-বাসন, খাবার রান্না ও চা তৈরি করতে বাধ্য করেন। বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিযোগ, তারা বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত শিক্ষা পাচ্ছেন না। রিল Like করতে বাধ্য করা সংশ্লিষ্ট শিক্ষিকা ছাড়াও তারা অন্যও শিক্ষিকাদের সম্পর্কেও একই দাবি করেছে। ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র অঙ্কিত বলেছেন যে তিনি যখন তার একজন শিক্ষক হেম সিংকে স্টাফ রুমে ডাকতে গিয়েছিলেন, তখন তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, "আমাকে আগে জিলিপি খাওয়া শেষ করতে দাও"।
যে শিক্ষকরা স্কুলে সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য ভিডিও রেকর্ড করছেন বলে জানা গেছে তারা হলেন -- অম্বিকা গয়াল, পুনম সিং, নীতু কাশ্যপ। তারা সকলেই স্কুলে ভিডিও তৈরির বিষয়টি অস্বীকার করেছে এবং বলেছে যে তারা শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষা দেওয়ার জন্য "নিবেদিত প্রাণ"। একজন শিক্ষক অম্বিকা বলেন, "আমাদের কাছে এ বিষয়ে কোনও তথ্য নেই। স্কুলের সময় আমরা শিশুদের মনোযোগ সহকারে পড়াই। স্কুলের সময় শিশুদের শেখার জন্য আমরা মাঝে মাঝে ভিডিও তৈরি করি।" এদিকে, গঙ্গেশ্বরী আরতি গুপ্তা বলেছেন যে তাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্কুল শিক্ষকদের কিছু ভাইরাল রিল সম্পর্কে জানানো হয়েছে, এবং বিষয়টি তদন্ত করছে।