শরীরের যেকোনও অঙ্গে সমস্যা হলে তা যে কারও পক্ষেই মুশকিলের হয়ে ওঠে। কোনও কোনও অঙ্গের জন্য মানুষকে লজ্জা ও অপমানেরও সম্মুখীন হতে হয়। এমনই একটি ঘটনা উঠে এল আমেরিকায়। সেখানে এক ব্যক্তির নাকটি গোপনাঙ্গের মতো দেখতে ছিল। যার জেরে তিনি দীর্ঘদিন ধরে সমস্যায় ছিলেন। সেই বিচিত্র নাকের জন্য তিনি তিনি বাইরে বেরোতেও লজ্জা পেতেন। তবে এখন সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়েছেন তিনি।
Conrado Estrada আমেরিকার নিউইয়র্কের বাসিন্দা। প্রথমদিকে নিজের নাককে লোকানোর জন্য তিনি মাস্ক ব্যবহার করতেন। নিউইয়র্ক পোস্টের তথ্য অনুযায়ী, এই ধরনের নাকের জন্য ওই ব্যক্তির খাবার খেতে এবং শ্বাসপ্রশ্বাস নিতেও কষ্ট হত। ওই ব্যক্তি জানাচ্ছেন, যখনই তিনি কোনও জায়গায় যেতেন মানুষ তাঁর দিকে তাকিয়ে থাকতেন। শিশুরা মায়েদের জিজ্ঞাসা করতো যে তাঁকে ওইরকম দেখতে কেন? তাই তারপর থেকে যখনই বাইরে বেরোতেন মাস্ক পরে নিতেন।
Conrado Estrada আরও জানাচ্ছেন, এই ধরনের নাকের জন্য তাঁকে লজ্জার সম্মুখীন তো হতেই হতো, তাছাড়া বিভিন্ন শারীরিক সমস্যাও দেখা দিত। তাঁর নাক ঠোঁট পর্যন্ত নেমে এসেছিল, ফলে তিনি যখনই কিছু খেতে যেতেন চামচ নাকে ধাক্কা খেত।
দীর্ঘদিন এই সমস্যা নিয়ে চালর পর নিউ ইয়র্কেরই একটি হাসপাতালে নাকের অস্ত্রোপচার করান তিনি। তাঁর নাকের অস্ত্রোপচার করেন Dr. Thomas Romo। তিনি প্লাস্টিক সার্জারি বিশেষজ্ঞ। চিকিৎসক জানান ওই ব্যক্তি rhinophyma নামের একটি রোগে ভুগছিলেন। এই রোগে অনেক সময় নাক বড়, লাল বা ফুলে যায়। প্রায় ২০ বছর পর এমন কেস দেখলেন বলে জানান ওই চিকিৎসক। এর কোনও চিকিৎসা নেই। নাকটি বেশি বড় হয়ে গেলে অস্ত্রোপচারই একমাত্র পথ।