প্রত্যেকমাসে মেয়েদের এক বেদনাদায়ক সময় পেরোতে হয়, যাকে ঋতুস্রাব বা পিরিয়ডস (Periods) বলা হয়। সাধারণত, মহিলাদের এই ঋতুস্রাব ২ থেকে ৭দিন পর্যন্ত চলে। এই সময় অধিকাংশ মহিলার পেটে অসহ্য বেদনা হয়। যা সহ্য করতে হয় তাঁদের। কিন্তু এই দুনিয়ায় এমন এক মহিলা রয়েছেন, যাঁকে এই পিরিয়ডস-র বেদনা ও অস্বস্তিকর পরিস্থিতি প্রায় তিনমাস ধরে সহ্য করতে হয়েছিল। হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন, তিনমাস পর্যন্ত চলেছিল তাঁর পিরিয়ডস। আমেরিকার নর্থ ক্যারোলিনার বাসিন্দা ওই মহিলার ৮৩দিন পর্যন্ত পিরিয়ড (Woman Suffered Periods For 83 Days) চলে বলে জানা যায়। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে ওঠে যে ওই মহিলাকে রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। জানা গিয়েছে, ওই মহিলা একজন লেখিকা এবং তাঁর নাম রনি মায়ে। রনি জানিয়েছেন যে তাঁকে ৮৩দিন পর্যন্ত কী ধরনের সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল।
প্রায় তিনমাস পর্যন্ত চলে পিরিয়ডস
প্রথম যখন চিকিৎসকরা রনির কাছ থেকে এই সমস্যার বিষয়ে জানতে পারেন তখন নিজেরাই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না যে এ ধরনের কিছু হতে পারে। তাঁরা রনিকে আলাদাভাবে জরুরি বিভাগে ডেকে জিজ্ঞাসাও করেন যে আদৌও কি তাঁর এতটা রক্তপাত হচ্ছে, যতটা তিনি ব্যাখা করে বলছেন। ডেইলি মেইলের রিপোর্ট অনুয়াযী রনি বলেছিলেন যে তাঁর বেশ কিছু বছর সময় মতো পিরিযডস হতো না। এরপর ২০১৫ সালে তাঁর পিসিওএস ধরা পড়ে। লেখিকা জানান যে তাঁর যখনই পিরিযডস হতো, তা অতিরিক্তই হতো। কিন্তু ২০১৮ সালে তিনি একদিন চেয়ার থেকে উঠে দেখেন তিনি পুরো রক্তে ভিজে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন:Bread Chips Reciepe: চিপস ভালবাসেন? বাসি রুটি ফেলে না দিয়ে এভাবে বানিয়ে ফেলুন মুচমুচে রেসিপি
পিসিওসি এর কারণ
আসলে পিসিওসির কারণে হরমোনের ভারসাম্য ঠিক না থাকার দরুণ গর্ভাশয়ের আবরণ পুরু হয়ে যায়, যার কারণবশত দীর্ঘ সময় ধরে অতিরিক্ত পরিমাণে পিরিয়ডস হতে থাকে। রনি জানিয়েছেন যে তিনি যখন নিজের বাথরুমে যান, সেই অল্প সময়ের মধ্যে তাঁর পা থেকে রক্ত গড়াতে হতে শুরু করে দেয়। এরপর তিনি কোনও মতে অফিস থেকে বাড়ি আসেন এবং মাত্র একঘণ্টার মধ্যে একটা গোটা স্যানিটরি প্যাড ও ট্যাম্পুনের পুরো প্যাকেট শেষ হয়ে যায়। পেটে সেই সময় অসহ্য যন্ত্রণা হতে শুরু করে। ব্যথা কমানোর জন্য তিনি হটব্যাগ ব্যবহার করেন কিন্তু কোনও ফল দেয়না। এমনকী রক্ত পড়াও কম হয় না। তাই লেখিকার কাছে হাসপাতালে যাওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না।
মহিলা দু সপ্তাহ ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে
হাসপাতালে রনির যথাযথ চিকিৎসা চলে এবং এরপরই তিনি স্বস্তি পান কিছুটা। কিন্তু রনি হাসপাতাল থেকে বাড়ি যেতে ভয় পাচ্ছিলেন তাই তিনি দু সপ্তাহ হাসপাতালেই ভর্তি থাকেন। এই সময় রনির একাধিকবার প্যানিক অ্যাটাকও হয়। তাঁর রক্তচাপ ও হৃদযন্ত্রের ধুকপুকানিও বেড়ে যায় সেই সময়। রনিকে রক্ত দিতে হয়। এরপর ওই মহিলাকে এক অস্ত্রোপচারের মাধ্যম দিয়েও যেতে হয়েছিল।
Best Momos Restaurant In Kolkata: মোমো যেখানে সেখানে কেন খাচ্ছেন? কলকাতার সেরা দোকানগুলির হদিশ রইল