রাস্তার ওপরে রঙ-তুলির টানে করোনা সচেতনতার প্রচার আরামবাগ ট্রাফিক পুলিশের। মানুষকে বার্তা দিতে নিজেরাই হাতে তুলে নিয়েছেন সে সব।
হুগলির আরামবাগের গৌরহাটি মোড়ে এঁকেছেন একের পর এক ছবি। পথ চলতি সাধারণ মানুষের মধ্যে করোনা সম্পর্কে সচেতনতার প্রচারে।
যাতে এই ছবি দেখে সাধারণ মানুষের মধ্যে সতর্কতা ও সচেতনতার বৃদ্ধি ঘটে। দেশে বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমণ। এ জন্য মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে।
একদল পুলিশকর্মী এ কাজে নেমে পড়েছেন। কাজের ফাঁকে সেরে ফেলেছেন এই কাজ। যেন আর একটা কাজ। তবে গুরুত্বপূর্ণ কাজ, সন্দেহ নেই।
তাঁদের কাজ দেখে অনেকে থমকে গিয়েছেন। বুঝতে পারেননি কী হচ্ছে। অনেকে ভুল করে ভেবেছেন, পুলিশ কি রাস্তা সাফাইয়ের কোনও কর্মসূচি নিয়েছে? তবে কাছ থেকে দেখে তাঁদের ভুল ধারণা ভেঙেছে।
লাঠি হাতে পুলিশকে আমরা সকলেই দেখেছি। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ২০২০ সালে দেশে চালু হয়েছিল লকডাউন। তখন কড়া ব্যবস্থা নিয়েছিল পুলিশ। মানুষ যাতে অদরকারে বাড়ি থেকে না বেরোন, সে ব্য়াপারে নিশ্চিত হতে কঠোর অবস্থান নিয়েছিল পুলিশ।
বাংলা তো বটেই, দেশের বিভিন্ন জায়গায় সে ছবি দেখা গিয়েছে। কান ধরে ওঠবোস থেকে শুরু করে ডনবৈঠক করানো। বলা যেতে পারে, বাদ যয়নি কিছুই। তবে এরপরও কিন্তু অনকে অদরকারে বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন। এমন অনেক অভিযোগ উঠেছে।
পুরো লকডাউনের পথে হাঁটতে চায় না রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এই কথা আগেই জানিয়েছেন। এখন যেমন বিধিনিষেধ রয়েছে, তেমনই বজায় রাখতে চায় রাজ্য। যাতে মানুষের সমস্যা কমে।
মমতা জানিয়েছিলেন, আমরা অনেক বিধিনিষেধ করেছি। লকডাউন না করে লকঢাউনের মতো, আচরণ, করি, হকারদের সময়। একদম লকডাউন করলে লোকে খেতে পাবে না। তাই আমরা একটা টাইম বেঁধে দিয়েছি। আমাদের মাস্ক পরতে হবে। হাত সাবান দিয়ে ধুতে হবে।
মমতা বলেছিলেন, লোকে তো খাবে বাজার করে। স্বর্ণকাররা চেয়েছিল ১২টা থেকে ৩টে। আরও কিছু ছাত্র-যুব আছে। সিনিয়র চান্স পায়নি। তাদের নিয়ে নেব। আমরা সবাইকে নিখরচায় টিকা দেব। যখনই কেন্দ্র আমাদের দেব। মানুষ এখন বিপদে। হাজারটা কাজ করতে গেলে একটা ভুল হতে পারে।