কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হল সন্দেশখালিকে। শেখ শাহজাহানে গ্রেফতারির পর নতুন করে ২৩টি স্থানে জারি ১৪৪ ধারা। এদিন তৃণমূল নেতার বাড়ির আশেপাশ কার্যত নিরাপত্তার বেষ্টনীতে মুড়ে ফেলা হয়। মোট ৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৩টি স্থানে আগামী ৩ মার্চ পর্যন্ত এমনই কড়াকড়ি থাকবে। সূত্রের খবর, সন্দেশখালি গ্রামপঞ্চায়েতের অধীনস্থ ৫টি স্থানে, দুর্গামন্দিরের ৩টি স্থানে, খুলনার ৩টি, বেড়মজুরের ৩টি এবং ঝেলিয়াখালি ও বেড়মজুর-১-এর ৩টি স্থানে লাগু ১৪৪ ধারা। বাইরের কাউকে সেখানে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না পুলিশকর্মীরা। নতুন করে কোনও অশান্তি এড়াতেই আগেভাগে এই সতর্কতা বলে মনে করা হচ্ছে।
শাহজাহানের গ্রেফতারির পরপরই এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার জানিয়েছেন, 'এমন কিছু করবেন না, যাতে এলাকায় বিভেদ সৃষ্টি হয়।'
এর পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশেও বার্তা দেন পুলিশ কর্তা। তিনি বলেন, 'জনপ্রতিনিধিদের কেউ কেউ পুলিশের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক, প্ররোচনামূলক মন্তব্য করছেন। এটা ঠিক নয়।'
বুধবার রাতে মিনাখাঁর বামনপুর এলাকা থেকে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করা হয়। এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার সকালে এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানান এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার। সাংবাদিকদের তিনি জানান, 'কার বাড়িতে ছিলেন, কীভাবে গ্রেফতার, এখনই প্রকাশ করব না। এটি তদন্তের বিচার্য বিষয়।'
বৃহস্পতিবার সকালেই সাড়ে ১০টা নাগাদ শেখ শাহজাহানকে বসিরহাট আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। শাহজাহানকে নিয়ে আসার আগে সমগ্র আদালত চত্ত্বর করা নিরাপত্তার বেষ্টনীতে মুড়ে ফেলা হয়। সাদা পোশাক, স্নিকার্স পরে আদালতে ঢুকতে দেখা যায় শেখ শাহজাহানকে। প্রবেশের আগের মুহূর্তে আঙুল নাড়িয়ে কিছু ইশারাও করতে দেখা যায় তৃণমূল নেতাকে। শাহজাহানের বিরুদ্ধে ১৪৭, ১৪৮-সহ একাধিক জামিন অযোঘ্য ধারায় মামলা করা হয়। আপাতত আদালত শাহজাহানকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।