শনিবার শেখ শাহজাহানের ভাই সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করল CBI। শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগীর, সন্দেশখালি TMC ছাত্র সংগঠনের সভাপতি মফুজার মোল্লা ও সিরাজুল মোল্লাকে রবিবার আদালতে পেশ করা হবে।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের দায়ের করা ৩টি এফআইআর নিয়েছে সিবিআই। বিস্তারিত তদন্তের পর ৩ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেন সিবিআই আধিকারিকরা। এর ফলে ওখনও পর্যন্ত সন্দেশখালি মামলায় সিবিআই-এর গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৪। শাহজাহান শেখকে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে শাহজাহানের ভাই আলমগীর-সহ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ ১২ জনকে নোটিস ধরায় সিবিআই। গত বৃহস্পতিবার তাঁদের নিজাম প্যালেসে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেদিন না গেলেও তার ২ দিন পরে হাজিরা দেন আলমগীর। হামলার দিনের ভিডিয়ো ফুটেজ খতিয়ে দেখে শনিবার সন্দেশখালির আরও ১৫ জনকে তলব করেছে সিবিআই।
এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা গত ৫ জানুয়ারি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) আধিকারিকদের উপর হামলাকারী গোষ্ঠীর অংশ ছিল। উল্লেখ্য, ওইদিনই সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে অভিযানে গিয়েছিল ইডি টিম। এমন সময়ে তাঁদের উপর হামলা করার জন্য অভিযুক্তরা লোকজনকে উস্কে দেন বলে দাবি করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এই হামলার কয়েকদিন পরেই সন্দেশখালি নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। জমি দখলদারি ও নারী নির্যাতনের অভিযোগে শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেন গ্রামের মহিলারা।
রেশন বন্টন কেলেঙ্কারির প্রধান অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান ইডি টিমের উপর হামলার পর থেকে পলাতক ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তভার নেয় সিআইডি। দীর্ঘ সময় পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ১০ মার্চ, আদালত তাঁকে চার দিনের জন্য সিবিআই হেফাজতে পাঠিয়েছিল। আপাতত তা ২২ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।