scorecardresearch
 

৪৫০ টাকা পেতে অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও ৯ লক্ষ টাকা! জালিয়াতির ফাঁদে অবসরপ্রাপ্ত কর্মী

নিজের অ্যাকাউন্টে পাওনা ৪৫০ টাকা পেতে গিয়ে উধাও হল ৯ লক্ষ টাকা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হাওড়া সিটি পুলিশ এর সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চ। যদিও এখনও কিছুই কূলকিনারা পাওয়া যায়নি তদন্তের। ঘটনাটি ঘটেছে শিবপুরের এক অবসরপ্রাপ্ত কর্মীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। 

Advertisement
ঘটনাটি ঘটেছে শিবপুরের এক অবসরপ্রাপ্ত কর্মীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। ঘটনাটি ঘটেছে শিবপুরের এক অবসরপ্রাপ্ত কর্মীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।
হাইলাইটস
  • শিবপুরের রজনীকান্ত রায়চৌধুরী লেনের বাসিন্দা অপূর্ব ভঞ্জ ব্যাঙ্ক জালিয়াতির চক্রের মধ্যে পড়ে গিয়েছেন
  • পাওনা ৪৫০ টাকা পেতে গিয়ে উধাও হল ৯ লক্ষ টাকা
  • ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হাওড়া সিটি পুলিশ এর সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চ

ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ফাঁদে পড়লেন এক অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। নিজের অ্যাকাউন্টে পাওনা ৪৫০ টাকা পেতে গিয়ে উধাও হল ৯ লক্ষ টাকা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হাওড়া সিটি পুলিশ এর সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চ। যদিও এখনও কিছুই কূলকিনারা পাওয়া যায়নি তদন্তের। ঘটনাটি ঘটেছে শিবপুরের এক অবসরপ্রাপ্ত কর্মীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। 

ঠিক কী ঘটেছে? 

শিবপুরের রজনীকান্ত রায়চৌধুরী লেনের বাসিন্দা অপূর্ব ভঞ্জ ব্যাঙ্ক জালিয়াতির চক্রের মধ্যে পড়ে গিয়েছেন। সম্প্রতি বার্জার পেইন্টস কারখানার কেমিস্ট-এর পদ থেকে অবসর নিয়েছেন অপূর্ব ভঞ্জ। অবসর গ্রহণের পর তিনি তার প্রাপ্ত অর্থ দুটি ব্যাঙ্কে জমা রাখেন। একটি পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের শিবপুর শাখায়, অন্যটি বেসরকারি সংস্থা  উজ্জীবন স্মল ফাইন্যান্স-এ। জানা গিয়েছে গত ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের সেভিংস অ্যাকাউন্টে পাওনা ৪৫০ টাকা পাওয়ার জন্য যোগাযোগের চেষ্টা করেন। সমস্যা মেটাতে তিনি ইন্টারনেট থেকে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের কাস্টমার কেয়ারের নম্বরে ফোন করেন। ওই নাম্বারে একজন যুবক রাহুল সরস্বতী নিজেকে কাস্টমার কেয়ার এক্সিকিউটিভ হিসেবে পরিচয় দিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। 

ওই যুবক পাওনা টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাসও দেন। কিছুক্ষণ বাদে ওই যুবক ফের অপূর্ব ভঞ্জকে ফোন করে জানান যে টেকনিক্যাল কারণে ওই টাকা নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে দেওয়া যাচ্ছে না। অবসরপ্রাপ্ত কর্মী তখন তখনই তার উজ্জীবন স্মল ফাইন্যান্স ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নাম্বার দেন। এই ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে তার ফিক্সড ডিপোজিট এর টাকা জমানো ছিল। কথার ফাঁকে অপূর্ববাবু তার কার্ডের ডিটেলস এবং ওটিপি নাম্বার দেন ওই যুবককে। এরপরই তিনি কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁর ফিক্সড ডিপোজিট থেকে টাকা সেভিংস অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হয়। নতুন এমপিন তৈরি করে সেখান থেকে সাড়ে সাত লক্ষ টাকা বিভিন্ন ওয়ালেট এর মাধ্যমে তুলে নেওয়া হয়।

Advertisement

পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকেও ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা তুলে নেয় ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি। অরুপবাবুর অভিযোগ যখন দফায় দফায় তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ওই একই দিনে টাকা তোলা হচ্ছিল সেই সময় তাঁর মোবাইলেও কোন এসএমএস ঢোকেনি। এসএমএস এর বদলে তাঁকে মেইলে জানানো হয়। সেখানে জানান হয় যে অ্যাকাউন্ট থেকে বেশিরভাগ টাকা উধাও হয়ে গেছে। অপূর্ববাবুর মেয়ে অদিতি বলেন যখন বিভিন্ন ওয়ালেট এর মাধ্যমে টাকা উঠেছে তখন এসএমএস না করে কেন মেইল পাঠানো হল তা জানতে চাওয়া হয়। এর পাশাপাশি ওই ওয়ালেট সংস্থার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায় তার জন্য তিনি সরকারি হস্তক্ষেপও দাবি জানিয়েছেন। এই ঘটনার পর ওই ব্যক্তি শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন থানাতে অভিযোগ দায়ের করার পাশাপাশি হাওড়া সিটি পুলিশ এর সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চ অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানিয়েছে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

Advertisement