পশ্চিমবঙ্গে 'অঘোষিত জরুরি অবস্থা' চলছে বলে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি লিখলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ। চিঠিতে অধীর লিখেছেন যে, 'নৈরাজ্য চলছে।' এই নিয়ে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন অধীর।
২ পাতার চিঠিতে রাষ্ট্রপতিকে অধীর লিখেছেন, 'পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলা ফেরাতে আপনি হস্তক্ষেপ করুন।' অধীর আরও লিখেছেন যে, এই মুহূর্তে বাংলায় অরাজকতা চলছে, সেটা ভীষণই উদ্বেগের। সবটাই হচ্ছে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের উপর শাসকদলের নিষ্ঠুর আচরণে। চিঠিতে সন্দেশখালির প্রসঙ্গও তুলেছেন অধীর। পাশাপাশি, ভোট পরবর্তী হিংসার কথাও তুলে ধরেছেন। জলপাইগুড়িতে দলের এক কর্মীকে খুনের ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে চিঠিতে অধীর লিখেছেন যে, রাজ্যে বিরোধীদের কোনও জায়গা নেই।
অন্য দিকে, সম্প্রতি উত্তরবঙ্গকে উত্তর-পূর্বের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এই প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দিয়েছেন সুকান্ত। যা ঘিরে সরগরম রাজনীতির ময়দান। সুকান্ত বলেছেন, 'প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। উত্তরবঙ্গের সঙ্গে উত্তর-পূর্বের কী কী সাদৃশ্য রয়েছে, তা বলেছি। প্রস্তাব দিয়েছি, উত্তরবঙ্গকে উত্তর-পূর্বের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। এই প্রস্তাব দিয়েছি। এবার প্রধানমন্ত্রী বিচার করবেন। যদি যুক্ত হয়, পশ্চিমবঙ্গের অংশ হিসাবে, তাহলে উত্তরবঙ্গের কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা বেশি পরিমাণে পাওয়া যাবে। উন্নয়ন হবে। আশা করি, রাজ্য সরকারের আপত্তি থাকবে না। সহযোগিতা পাব।'
এই নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই মালদা, মুর্শিদাবাদ-সহ ৫ জেলাকে নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গড়ার দাবি জানিয়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। এই আবহে এবার মুর্শিদাবাদের বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষও একই দাবি করেছেন। শুধু তাই নয়, ২ বছর আগেই এই দাবি জানিয়ে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলার রাজ্যপালকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন বলে শুক্রবার দাবি করলেন বিধায়ক। শুক্রবার বিধানসভা চত্বরে এই প্রসঙ্গে গৌরীশঙ্কর জানান যে, নিশিকান্ত যে দাবি জানিয়েছেন, সেই একই দাবিতে ২০২২ সালের ২ অগস্ট রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং রাজ্যপালকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন তিনি। চিঠিতে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের বিষয় নিয়ে উদ্বেগের কথা তুলে ধরেছিলেন বলেও জানান গৌরীশঙ্কর। এই প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রপতিকে অধীরের চিঠি নয়া মাত্রা যোগ করল।