scorecardresearch
 

'বেসুরো' সিনেপাড়া! রুদ্র-কৌশিকের পর পদ্মশিবিরে হিরণ?

একুশের নির্বাচনের মুখে দলে বড় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সরত জাহান, মিমি চক্রবর্তী, শতাব্দী রায় ও দেবকে। ভোট প্রচারের বিশেষ দায়িত্ব পেয়েছেন সোহম চট্টোপাধ্যায়ও। কিন্তু হিরণের নাম ঘাসফুল শিবিরের অন্দরেও কোথাও শোনা যায়নি। পদ্মযোগের বিষয়ে সরাসরি কিছু না বললেও হিরণ জানান, "রাজনীতি হঠাৎ বদলে গিয়েছে। সবাই সবাইকে হুমকি দিচ্ছে। কেউ বলছে কবজি কেটে নেব, হাত কেটে নেব। আমি এসবে অভ্যস্ত নই। সেই দেখে একটি নড়েচড়ে বসলাম।''

Advertisement
রবিবারই পদ্ম শিবিরে যোগ দিতে চলেছেন টলিউডের আরও অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। রবিবারই পদ্ম শিবিরে যোগ দিতে চলেছেন টলিউডের আরও অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীরা।
হাইলাইটস
  • সিনেপাড়াতেও 'বেসুরো' হলেন একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রীরা
  • কোন কোন মুখ নির্বাচনী প্রাক্কালে মঞ্চ বদল করতে চলেছে
  • টলিপাড়ায় কি তাহলে গেরুয়া হাওয়া?

তৃণমূল ত্যাগের হিড়িক লেগেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিবিরে। তবে তা সাংসদ-মন্ত্রী-বিধায়কদের মধ্যে। কিন্তু এবার সিনেপাড়াতেও 'বেসুরো' হলেন একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও। শুক্রবার দিলীপ ঘোষের থেকে পদ্ম পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন অভিনেতা কৌশিক রায়। পার্নো মিত্র, রূপাঞ্জনা মিত্র, রিমঝিম মিত্র, কাঞ্চনা- এরা তো আগেই গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। শনিবার অমিত শাহের নেতৃত্বে পদ্ম পতাকা হাতে তুলে নিতে দিল্লিতে গিয়েছেন রুদ্রনীল ঘোষ। আর এবার সেই তালিকায় নাম তুলতে চলেছেন অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়। 

এখনও যদিও সরকারিভাবে কিছু জানায়নি অভিনেতা এবং বিজেপি শিবির কেউই। একটি সংবাদমাধ্যমকে হিরণ বলেন, "আমি জানি না এখনও। আগামীকাল কোথায় যোগ দেব, কী হবে সবটাই সম্ভাবনা। যখন কিছু করব সবাই জানতে পারবে সেটা। রাজনীতিতে আসলে সবটাই সম্ভাবনা। তবে হ্যাঁ যেরকম ভাবে রাজনীতি করছিলাম তেমন সক্রিয়ভাবেই রাজনীতি করব। আমি কলেজ থেকে রাজনীতি করতাম।" 

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি ছিলেন হিরণ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একাধিকবার স্টেজেও দেখা গেছে তাঁকে। তবে সম্প্রতি টলিউডের ছবি-সিরিজ-সিরিয়াল কোনও পর্দাতেই দেখা যায়নি অভিনেতাকে। তবে কি কোণঠাসা হয়ে পড়ছিলেন? আর সেই কারণেই দলবদল? হিরণের কথায়, "আমি আজ অবধি, এখনও তৃণমূল কংগ্রেসে আছি। আমি বলিনি এখনও যে দলে নেই। রাত পোহালে যে হঠাৎ করে বদল হবে তা নাও হতে পারে।" 

একুশের নির্বাচনের মুখে দলে বড় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নুসরত জাহান, মিমি চক্রবর্তী, শতাব্দী রায় ও দেবকে। ভোট প্রচারের বিশেষ দায়িত্ব পেয়েছেন সোহম চট্টোপাধ্যায়ও। কিন্তু হিরণের নাম ঘাসফুল শিবিরের অন্দরেও কোথাও শোনা যায়নি। পদ্মযোগের বিষয়ে সরাসরি কিছু না বললেও হিরণ জানান, "রাজনীতি হঠাৎ বদলে গিয়েছে। সবাই সবাইকে হুমকি দিচ্ছে। কেউ বলছে কবজি কেটে নেব, হাত কেটে নেব। আমি এসবে অভ্যস্ত নই। সেই দেখে একটি নড়েচড়ে বসলাম। কিছু একটা করতে হবে। যুব সমাজ এটা দেখতে চায় না। বদলা নেওয়ার রাজনীতি শুরু হয়েছে।"

Advertisement

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই তৃণমূল ত্যাগ করা বিজেপি সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীকে হুমকি দেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। জঙ্গিপাড়ার সভায় শুভেন্দুকে সরাসরি হাত কেটে নেওয়ার হুমকি দেন এই আইনজীবী সংসদ। যা নিয়ে বিস্তর জলঘোলাও হয়। পরোক্ষভাবে তৃণমূলকে বিঁধে গেরুয়া মঞ্চ বাঁধার প্রস্তুতির কথাই কি জানালেন হিরণ? এদিকে, শনিবার বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন রবিবারই পদ্ম শিবিরে যোগ দিতে চলেছেন টলিউডের আরও অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। সিনেপাড়ার আর কোন কোন মুখ নির্বাচনী প্রাক্কালে মঞ্চ বদল করে সেদিকেই তাকিয়ে সব মহল।

Advertisement