বিহারে ৫ আসনে জয়ের পরে বিধানসভা নির্বাচনেও প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন AIMIM সুপ্রিমো আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। বাংলায় AIMIM প্রার্থী দিলে মুসলিম ভোট সমীকরণ বদলে যাবে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। এ হেন পরিস্থিতিতে আজ অর্থাত্ বৃহস্পতিবার AIMIM-কে নিশানা করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। তাঁর কথায়, 'AIMIM আসলে বিজেপির বি টিম। বাংলার অসাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন মানুষ ওদের খারিজ করে দেবে।'
আসাদউদ্দিন ওয়েইসির (Asaduddin Waisi) নাম করে অধীর বলেন, 'বিহার ভোটের রেজাল্টের পরে আসাদউদ্দিন ওয়েইসির অ্যাজেন্ডা বাংলার মানুষ ভালই বুঝতে পারছে। সংখ্যালঘু ভোট কেটে মহাগঠবন্ধনকে হারাতে বিজেপি-কে সাহায্য করেছেন তিনি। বাংলার রাজনীতি সচেতন উদারমনস্ক মুসলিমরা কখনওই AIMIM-এর মতো দলকে ভোট দেবেন না। বিহার ভোটের পরে AIMIM-এর উদ্দেশ্য সবার সামনে চলে এসেছে। এই দেশের মুসলমানরা বুঝে গিয়েছেন, AIMIM আসলে বিজেপি-র বি টিম। অসাম্প্রদায়িক দলের ক্ষতি করতে এসেছে। বিহারে এটাই করেছে AIMIM। এবার বাংলায় করতে চাইছে।'
AIMIM ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে লড়লে রাজনৈতিক সমীকরণে কি তার প্রভাব পড়বে? জবাবে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গে AIMIM-এর কোনও ভবিষ্যত্-ই নেই। বিহারে ৫টি আসন জিতেছে। বাংলাও একটি আসনও পাবে না। বাংলার রাজনীতি সচেতন উদার মনোভাবাপন্ন মুসলিমরা ওদের জামানত বাজেয়াপ্ত করবে।'
পশ্চিমবঙ্গে AIMIM প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করতেই মুসলিম ভোট পেতে আসরে নেমে পড়েছে বাম-কংগ্রেস জোট। অধীর চৌধুরী ও আব্দুল মান্নান ইতিমধ্যেই ফুরফুরা শরিফে পিরজাদা ত্বহা সিদ্দিকির কাছে ঘুরে এসেছেন। ত্বহা সিদ্দিকি না-থাকায় তাঁর তুতো ভাই ইব্রাহিম সিদ্দিকির সঙ্গে বৈঠক করেছেন তাঁরা।
২০০৯ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম ভোট অনেকটাই গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে। তার আগে উত্তরবঙ্গ, মুসলমান অধ্যুষিত এলাকার মানুষেরা কংগ্রেস ও বামেদের উপরেই ভরসা রেখেছিলেন। মুসলিম ভোট টানতে কোনও দলেরই চেষ্টার কসুর থাকে না। বাংলায় মোটামুটি ২৭ শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যা। এর মধ্যে খানিকটা অংশও কোনও দল পেলেই মোটামুটি রাজনৈতিক অঙ্ক বদলে যায়।