এক শৃঙ্গ গন্ডারের দৌলতে শুধু আলিপুরদুয়ার জেলায় নয় বিশ্বের পর্যটন মানচিত্রেও জ্বলজ্বল করছে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের (Jaldapara National Park) নাম। ডুয়ার্সের পর্যটন শিল্পকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিতে ভারতীয় রেল পর্যটকদের জন্য চালু করছে অত্যাধুনিক ভিস্টাডোম কোচ (Vistadome Coach)। অথচ শিলিগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ার জংশন পর্যন্ত পাহাড় ও জঙ্গলের পথে ভিস্টাডোমে প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘন্টার সফরে বেশ কয়েকটি ষ্টেশনে এই ট্রেনের ষ্টপেজ থাকলেও আশ্চর্যজনক ভাবে তালিকায় নেই মাদারিহাটের নাম। ভিস্টাডোম কোচের স্টপেজের তালিকা থেকে মাদারিহাট ষ্টেশনের নাম কেন বাদ পড়ল, এখন সেই প্রশ্নই তুলছেন মাদারিহাটবাসী সহ ডুয়ার্সের পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
বুধবার মাদারিহাটে ভিস্টাডোমের স্টপেজের দাবিতে ষ্টেশনেই ধরনায় বসেন এলাকাবাসী। তাঁদের জানাচ্ছেন, পর্যটনের স্বার্থে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে আলিপুরদুয়ার জংশন পর্যন্ত ভিস্টাডোম ট্রেন (Vistadome Train) চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রেল। ডুয়ার্সের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য ট্রেনটিকে কাঁচ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। সেই ট্রেনের স্টপেজ দেওয়া হয়েছে সেবক, মালবাজার, হাসিমারা, রাজাভাতখাওয়া ও আলিপুরদুয়ারে। অথচ কোনও এক অজ্ঞাত কারণে ডুয়ার্সের সবচেয়ে পুরনো এবং জনপ্রিয় জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান লাগোয়া মাদারিহাট (Madarihat) রেলস্টেশনে স্টপেজ দেওয়া হয়নি। এক্ষেত্রে মাদারিহাটকে বঞ্চিত করা হয়েছে বলেই অভিযোগ তাঁদের। এদিন মাদারিহাট রেল স্টেশনে ডেপুটেশনও পেশ করেন তাঁরা।
এই প্রসঙ্গে পর্যটন ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ সাহা অভিযোগ করেন, মাদারিহাটের পর্যটন শিল্পের প্রতি অনবরত বিমাতৃসুলভ আচরণ করেছে রেল দফতর। এক্ষেত্রে মাদারিহাটে ভিস্টাডোমের স্টপেজ দেওয়ার দাবি জানান তিনি। প্রসঙ্গত, পুজোর আগেই উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়েতে চালু হতে চলেছে ভিস্টাডোম কোচে যাত্রী পরিষেবা। নিউ জলপাইগুড়ি (NJP) স্টেশন থেকে এই কোচটি প্রতিদিন সকালে সেবক হয়ে আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) পৌঁছবে। আবার আলিপুরদুয়ার থেকে ফিরে যাবে। ৪৪ আসন বিশিষ্ট এই কোচটির বড় একটি অংশ ঘেরা থাকবে স্বচ্ছ কাঁচে। যাতে ডুয়ার্সের অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য কোচে বসেই উপভোগ করতে পারেন পর্যটকরা।