রাজ্যের অন্তত ৬০ জনের কার্ড বাতিল করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে জোর রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় ও পরে বীরভূমের সিউড়ির সরকারি পরিষেবা প্রদানের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও অভিযোগ করেছিলেন, যাতে ভোট দিতে না পারে, সেই কারণে অনেকের আধার বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও তিনি একটি পোর্টাল খোলারও কথা জানান। যাঁদের আধার কার্ড বাতিল হয়ে যাচ্ছে, তাঁদের অভিযোগ জানানোর জন্য মুখ্যসচিবকে একটি অনলাইন পোর্টাল তৈরির নির্দেশও দেন।
এদিকে, আজ আধার বাতিলের বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে বলে জানালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। একটি ভিডিও বার্তায় সুকান্ত বলেন, 'রাজ্যে আধার কার্ড নিয়ে বেশ কিছু সমস্যা হয়েছিল। সেই সমস্যা ত্রুটির জন্য হয়েছিল। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সন্দেশখালির ঘটনা ধামাচাপা দিতে মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল বিভিন্ন জেলায় ভয় দেখাতে শুরু করেছিল যে আধার কার্ড নাকি বাতিল হয়ে যাবে, এনআরসি হবে তাই নাকি আধার বাতিল হয়ে যাবে। আমি বাংলার জনগণকে আমি বলতে চাই কারও আধার কার্ড বাতিল হচ্ছে না।'
বালুরঘাটের সাংসদ বলেন, 'মাননীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে দেখা করে এলাম। বাংলার প্রায় ৫৪ হাজার আধার কার্ডের সঙ্গে এই সমস্যা হয়েছিল। আজ রাতের মধ্যে সমস্ত কিছু ঠিক হয়ে যাবে। বাংলার মানুষকে আমি সাবধান করতে চাই যে ভোট যত এগিয়ে আসবে এই মিথ্য়াশ্রীর প্রচার তত বাড়বে। সেই জন্য মিথ্যাশ্রীর থেকে সাবধানে থাকুন, দূরত্ব বজায় রাখুন। সুকান্ত মজুমদার ও ভারতীয় জনতা পার্টি দায়িত্ব নিচ্ছে যাদের আধার কার্ড নিয়ে সমস্যা হয়েছে তাদের এই সমস্যা আজকে রাতের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে, আধার আবারও চালু হয়ে যাবে। কারও কাছে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। মুখ্যমন্ত্রী যে পোর্টাল খুলেছেন সেখানেও কিছু করার দরকার নেই।'
সব নিষ্ক্রিয় আধার সক্রিয় করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু জানিয়েছেন, তিনি এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে কথা বলেছেন। শুভেন্দু জানান, রাঁচির আধার কেন্দ্রের কারণেই এই সমস্যা হয়েছিল। এই বিষয়ে শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জিকে একটি চিঠিও পাঠিয়েছিলাম। তাঁরা আমাকে আশ্বস্ত করেছেন যে সমস্ত নিষ্ক্রিয় কার্ড ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুনরায় সক্রিয় করা হবে। মনে হচ্ছে রাঁচির আঞ্চলিক অফিসের এমন পদক্ষেপ সম্পর্কে উচ্চ স্তরের আধিকারিক এবং মন্ত্রক সম্পূর্ণরূপে অসচেতন ছিল। সত্য উদঘাটনের জন্য এবং নির্বাচনের আগে কোনও ষড়যন্ত্র করা হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত করা হতে পারে। আমি সর্বভারতীয় মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (এমওএস) শ্রী শান্তনু ঠাকুরের ভূমিকারও প্রশংসা করি যে বিষয়টি সর্বোচ্চ পর্যায়ে সক্রিয়ভাবে তুলে ধরা হয়েছে।'