গ্রেটার কোচবিহারের নেতা তথা বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎ ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এই আবহে অনন্তের এক মন্তব্যে নতুন জল্পনা দানা বাঁধল। অনন্তের তৃণমূলে যোগদান ঘিরে জল্পনা দানা বেঁধেছে। এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন অনন্ত। বললেন, 'আমার কি মতি মরে গিয়েছে। আগ্রহী নই। তৃণমূলে কেন যাব?' মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে অনন্ত এ-ও বললেন, 'সৌজন্য সাক্ষাৎ, রাজনীতির কথা হয়নি।' সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের পর পরই অনন্তের বাড়িতে মমতার এহেন সাক্ষাৎ রাজ্য রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। অনন্তকে শাল উপহার দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, এমনটা নিজেই জানিয়েছেন গ্রেটার কোচবিহারের নেতা।
মঙ্গলবার দুপুরে কোচবিহারে চকচকা এলাকায় অনন্ত মহারাজের বাড়িতে যান মমতা। মুখ্যমন্ত্রীকে পান-সুপুরি, উত্তরীয় পরিয়ে বাসভবনে স্বাগত জানান অনন্ত। প্রায় আধঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তাঁদের কথা হয়। অনন্তের বাড়িতে ঢোকার মুখে সাংবাদিকদের তিনি জানান, 'এত বড় বাড়ি আমি দেখি নাই কখনও'।
তৃণমূলে যোগ দেবেন কি? প্রশ্নের জবাবে অনন্ত বলেন, 'আগ্রহী নই। আমি কোনও দলে নেই।' তৃণমূল কোনও প্রস্তাব দিলে কী করবেন? প্রশ্ন শুনে হাসেন অনন্ত। বলেন, 'আমি বিধায়ক হব? আমার কি মস্তিষ্ক খারাপ হয়ে গিয়েছে? আমি বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ আছি।' তৃণমূলের তরফে রাজ্যসভার সাংসদ হওয়ার প্রস্তাব দিলে কী করবেন? অনন্ত বলেন, 'আমি তো রাজ্যসভার সদস্য আছি। তৃণমূলে কেন যাব? আমি বিজেপির সক্রিয় রাজ্যসভার সদস্য। আমি এরকম করব?'
মমতার হঠাত্ অনন্ত মহারাজের বাড়িতে যাওয়া নিয়ে রাজনৈতিক জল্পনা তুঙ্গে। কারণ, কয়েকদিন আগেই প্রকাশ্যে বিজেপি-র উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অনন্ত । বলেছিলেন, 'রাজ্য বিজেপি আমাকে ডাস্টবিনে রেখে দিয়েছে। কেউ কোনও যোগাযোগই রাখেন না। প্রার্থী বাছাই নিয়েও আলোচনা করা হয়নি।' এমনকী কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের হয়ে প্রচারেও দেখা যায়নি অনন্তকে। এই প্রেক্ষাপটে মমতার সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং তারপরে তাঁর এদিনের মন্তব্য আলাদা তাৎপর্য পেয়েছে।