scorecardresearch
 

Ashok On Sukanta: সুকান্তের মতের শরিক অশোক, তৃণমূল বলল,'এবার রাজ্য ভাগ চাইছে রাম-বাম'

সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বাম আমলের মন্ত্রী ও শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য বলেন,'উত্তরবঙ্গের মানুষ সামগ্রিক উন্নয়ন চান। উত্তরবঙ্গের মানুষের মধ্যে বঞ্চনার বোধ আছে। তাঁরা সম্মান চান'।

Advertisement
অশোক ভট্টাচার্য এবং সুকান্ত মজুমদার অশোক ভট্টাচার্য এবং সুকান্ত মজুমদার
হাইলাইটস
  • উত্তর-পূর্বের অন্তর্ভুক্ত করা হোক উত্তরবঙ্গকে।
  • প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব দিয়ে এসেছেন সুকান্ত মজমুদার।
  • সুকান্তের মতের শরিক হলেন সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য।

উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্যের দাবি তুলেছিলেন বিজেপি নেতা-মন্ত্রীরা। এবার উত্তরবঙ্গের ৮ জেলাকে উত্তর-পূর্বের সঙ্গে যুক্ত করার দাবি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। আর তা নিয়ে উত্তপ্ত রাজনীতি। এবার সুকান্তের মতের শরিক হলেন সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য। bangla.aajtak.in-কে তিনি জানালেন,'এই দাবি বহু আগেই করেছিলেন সিপিএমের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি'। তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া, রাম-বাম এক হয়ে রাজ্যভাগের চক্রান্ত করছে। 

সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বাম আমলের মন্ত্রী ও শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য বলেন,'উত্তরবঙ্গের মানুষ সামগ্রিক উন্নয়ন চান। উত্তরবঙ্গের মানুষের মধ্যে বঞ্চনার বোধ আছে। তাঁরা সম্মান চান। আমি তখন মন্ত্রী ছিলাম, সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটিতে বিষয়টি তুলেছিলেন সীতারাম ইয়েচুরি। তিনি বলেছিলেন, যে সুবিধে সিকিম পাচ্ছে সেটা কেন পার্শ্ববর্তী দার্জিলিং পাবে না! কেন্দ্রীয় প্রকল্পে অন্যান্য রাজ্যে ৫০ শতাংশ অর্থ দিতে হয়। উত্তর-পূর্বের ক্ষেত্রে ৯০ শতাংশই কেন্দ্রীয় সরকার বহন করে। তাই সীতারাম ইয়েচুরি চেয়েছিলেন, উত্তরবঙ্গকেও উত্তর-পূর্বের অন্তর্ভুক্ত করা হোক। তিনি রাজ্যভাগ চাননি'। 

সুকান্তর দাবির সঙ্গে আপনি কি সহমত? অশোক ভট্টাচার্য জানান,'সুকান্ত কী বলতে চাইছেন সে ব্যাপারে আমি জানি না। সীতারাম ইয়েচুরি যে বিষয়টি বলেছিলেন সেটাই আমি বলতে চাই'।

আরও পড়ুন

সরাসরি সুকান্তকে সমর্থন না করলেও উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির মতোই উত্তরবঙ্গ সুযোগ-সুবিধা পাক, সেটা চান অশোকও। সুকান্ত-অশোকের এহেন মতের মিল নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য bangla.aajtak.in-কে জানিয়েছেন,'রাম-বাম এক ছিলই। এতদিন খালি তৃণমূলকে হারাতে এক হয়েছিল। এবার রাজ্য ভাগ করতে এক হয়েছে ওরা। উত্তরবঙ্গে বিজেপির নির্বাচনী ফল প্রমাণ করে দিয়েছে, ভাঙাগড়ার রাজনীতির বিরুদ্ধে সেখানকার মানুষ'। 

তাঁর সংযোজন,'উত্তর-পূর্বের ৭টি রাজ্যে কোনও উন্নয়ন করেনি কেন্দ্রীয় সরকার। সব জায়গায় গেলেও মণিপুরে যাননি প্রধানমন্ত্রী। কারণ সেখানে দুটি আসন। উত্তর-পূর্বের মতো উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন করতে হলে কী অবস্থা হতে পারে সেটা ভাবুন! আর অশোকবাবুরা যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন উত্তরবঙ্গকে আলাদা চোখে দেখা হত। আজ উত্তরবঙ্গে কলকাতার চেয়ে ভালো রাস্তাঘাট'।

Advertisement

ঠিক কী বলেছেন সুকান্ত মজুমদার?

বুধবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করেন সুকান্ত। ওই বৈঠকে উত্তরবঙ্গ নিয়ে প্রস্তাব জমা দেন তিনি। এ নিয়ে সুকান্ত বলেন,'এত দিন উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন হয়নি বলেই বারবার নানা দাবি ওঠে। উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির উন্নয়নে জোর দিয়েছেন  প্রধানমন্ত্রী। উত্তরবঙ্গকে উত্তর-পূর্বের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করলে উন্নয়নে তি আসবে। এতে রাজ্য সরকারের কোনও আপত্তি থাকবে না বলে মনে করি। এতে রাজ্যেরই উন্নতি হবে'। উল্লেখ্য, শিক্ষা মন্ত্রকের পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব উন্নয়ন মন্ত্রকেরও প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তাঁর লোকসভা কেন্দ্র উত্তরবঙ্গের বালুরঘাট। উত্তরবঙ্গে বঞ্চনার অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরে সরব বিজেপি।  এই সূত্রে তা আরও একবার সুকান্ত উস্কে দিলেন বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

সুকান্তর পাশে দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ

দলের রাজ্য সভাপতির পাশে দাঁড়িয়েছেন দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্তা। তাঁর কথায়,'উত্তরবঙ্গের সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করে আসছে রাজ্য সরকার। আমাদের ভাষা এবং সংস্কৃতি ভৌগলিকভাবে উত্তর-পূর্বের বেশি কাছাকাছি'
 

Advertisement