ত্রিপুরায় তৃণমূলের উপর আক্রমণ। তাদের গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। একাধিক নেতার উপর আক্রমণ করা হয়। যার জেরে একাধিকজন জখম হয়েছেন। ঘটনা ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা।
জানা গিয়েছে, আজ ত্রিপুরার ধলায় জেলায় একটি দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন তৃণমূলের দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা ও জয়া দত্ত। অভিযোগ, আমবাসায় তাঁদের গাড়িতে আক্রমণ করা হয়। গাড়ি লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি ইট ছোড়া হয়। আক্রান্ত হন সুদীপ রাহা ও জয়া দত্ত। তাঁদের গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ শুরু করেন তৃণমূল কর্মীরা।
আরও পড়ুন : এক ডোজেই কাজ, ভারতে Corona টিকা ব্যবহারে ছাড়পত্র পেল জনসন অ্যান্ড জনসন
দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেন, 'আমবাসা নামে একটা পাহাড়ি এলাকা ধরে ধর্মনগরে যাচ্ছিলাম। আমবাসায় আমাদের উপর আক্রমণ করা হয়। এই আক্রমণের পিছনে BJP-র হাত রয়েছে। তারা আমাদের রাজ্যে গিয়ে গণতন্ত্রের কথা বলে। অথচ এখানে আমাদের ,প্রতি পদে পদে আটকানো হচ্ছে। আমবাসা পাহাড়ের কাছে আমাদের গাড়িটাকে দুটো লরি ঘিরে ধরে। আমরা ভেবেছিলাম, পাহাড়ি রাস্তা সেই কারণে এই রকম হচ্ছে। কিন্তু, সেই জ্যাম ছেড়ে যাওয়ার পর আমরা সামনে এগোতেই দুই-তিনজন মিলে আমাদের উপর আক্রমণ করে। গাড়ির কাচ ভেঙে দেয়। সেই ইটের ঘায়ে আক্রান্ত হন, আমাদের দুইজন। আমার হাতের উপর আধলা ইট পড়ে। যেখানে আক্রমণ হল, তার ঠিক ১০০ মিটারের মধ্যে পুলিশ ও RAF দাঁড়িয়েছিল। অথচ তারা কোনও পদক্ষেপই করল না।'
আরও পড়ুন : 'ত্রিপুরায় খেলা শুরু, ১৫ দিন অন্তর আসব, সরকার গড়বই'; চ্যালেঞ্জ অভিষেকের
দেবাংশুর আরও অভিযোগ, পুলিশের সামনেই গোটা ঘটনা ঘটে। অথচ তারা দর্শকের ভূমিকা পালন করে। পুলিশের মদতেই BJP-র দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলেও দাবি করেছেন দেবাংশু।
এদিকে ঘটনার পরই টুইট করেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি লেখেন, 'ত্রিপুরায় আমাদের সহকর্মীরা আক্রান্ত, রক্তাক্ত। গণতন্ত্রকে হত্যা করছে বিজেপি। তীব্র প্রতিবাদ জানাই। কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশন আঙুল চুষবে?'
ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বের তরফেও। আগামীকাল রবিবার ত্রিপুরায় যাবেন বলে জানিয়েছেন কুণাল ঘোষ ও ব্রাত্য বসু।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই ত্রিপুরা গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর গাড়িতেও হামলা হয়েছিল বলে অভিযোগ। যদিও অভিষেক ত্রিপুরার বিজেপি পরিচালিত সরকারকে হুঁশিয়ায়রি দিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন, আক্রমণ করে তাঁকে এভাবে আটকানো যাবে না।