বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo) তৃণমূলে (TMC) যোগ দিয়েছেন ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে সাংবাদিক সম্মেলন করে সংবাদমাধ্যমের নানা প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন আসানসোলের সাংসদ। একইসঙ্গে সাংসদ পদে ইস্তফা দেবেন বলেও ঘোষণা করেছেন তিনি। তবে আসানসোলের প্রতি যে তিনি 'বায়েস্ড' সে কথাও খোলাখুলি স্বীকার করে নিয়েছেন বাবুল। আর তাঁর এই মন্তব্য থেকেই কেউ কেউ মনে করছেন, সাংসদ পদে ইস্তফা দেবেন বলে ঘোষণা করলেও আগামিদিনে হয়ত আসানসোল তথা শিল্পাঞ্চলের রাজনীতিতে আবারও দেখা যাবে বাবুলকে। সেক্ষেত্রে বাস্তবে তেমনটা হলে প্রথমেই যে বিষয়টা উঠে আসছে তা হল, ফের একবার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা যেতে পারে বাবুল সুপ্রিয় ও জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে।
গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tiwari)। তার আগে পর্যন্ত রাজনীতির ময়দানে বিভিন্ন সময় একে অপরের বিরোধিতা করেছেন বাবুল ও জিতেন্দ্র। এমনকী প্রথমে যখন একবার জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা তৈরি হয়েছিল সেই সময় তীব্র বিরোধিতাও করেন বাবুল। যদিও পরে অবশ্য গেরুয়া ব্রিগেডে নাম লেখান আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র। তারপর থেকে মাত্র কয়েকমাসের জন্য একদলে দেখা যায় তাঁদের। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদলের পরেই বিজেপি ছেড়ে দেন বাবুল। তারপর শনিবার হাতে তুলে নেন ঘাসফুলের পতাকা। ফলে আবারও একবার সেই বিপরীত শিবিরে বাবুল সুপ্রিয় ও জিতেন্দ্র তিওয়ারি।
জিতেন্দ্র তিওয়ারি যা বললেন...
সোমবার এই প্রসঙ্গে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "আসানসোলে বাবুল সুপ্রিয়র কোনও ইমেজ ছিল না। উনি যদি এতই জনপ্রিয় হন তাহলে আসানসোলে ভোটে লড়ে দেখান। কিন্তু তৃণমূল ওনাকে প্রার্থী করবে না। তৃণমূল জানে ওনার চেয়ে রানু মণ্ডকে প্রার্থী করলে বেশি ভোট পাবে। উনি শিল্পী, আগে ভাল গান করতেন। এখন ওনার চেয়ে রানু মণ্ডল ভাল গান করেন। উনি দাঁড়াবেন না, ভিতু।"
বাবুলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
এদিকে বাবুল তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন আসানসোলে (Asansol) বিজেপি নেতা কর্মীদের একটা বড় অংশ। এমনকী বাবুলের ছবিতে চটি-জুতোও মারেন তাঁরা। এই ক্ষেত্রে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় যখন জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে দলে নেওয়া হয়েছিল তখনও প্রকাশ্যেই বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন বিজেপির (BJP) একাংশের নেতা কর্মীরা। যার জেরে ভোটের আগে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল আসানসোলে। পরবর্তী সময়ে বিষয়টা মোটমুটি সামাল দিয়ে নেয় বিজেপি। কিন্তু বাবুল তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় আসানসোলের রাজনীতিতে নতুন করে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহালমহল।