উত্তর চব্বিশ পরগনার সীমান্ত এলাকা থেকে দুই মহিলাকে আটক করেছিল বিএসএফ। জানা যায় বেআইনি ভাবে তাঁরা সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করছিল। বুধবার ওই দু'জনকে বাংলাদেশের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের হাতে তুলে দিল বিএসএফ। জানা যাচ্ছে ওই দুই মহিলা সম্পর্কে মা ও মেয়ে। ২২ জুন বিএসএফ-এর কাছে খবর যায় জিৎপুরে বেআইনি ভাবে সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করছে ২-৩ জন। সঙ্গে সঙ্গে বিএসএফ-এর ৯৯ ব্যাটেলিয়নকে সতর্ক করে দেওয়া হয়। এরপর দুপুর সোয়া একটা নাগাদ সীমান্ত এলাকা থেকে ওই মা ও মেয়েকে আটক করে পুলিশ।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মেয়ে আলিমার (নাম পরিবর্তিত) বিয়ে ঠিক করেছিল বাবা-মা। কিন্তু ১৭ বছরের মেয়ে বিয়েতে রাজি ছিল না। গ্রামের দুই যুবক কালু ও সুহাগের সঙ্গে ভারতে চলে আসে সে। ওই দু'জন এদেশে তাকে বিউটিপার্লারে কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু সীমান্ত পার হোয়ার পর মহম্মদ আলি নামে এক ব্যক্তির কাছে দেড় লক্ষ টাকায় কালু মেয়েটিকে বিক্রি করে দেয়। এরপরেই উত্তর দিনাজপুরের পাঞ্জিপাড়ায় নিয়ে যাওয়া হয় ওই নাবালিকাকে । জোড় করে তাকে দেহ ব্যবসায় নামানোর চেষ্টা চলে। এখানে মিঠুন বলে একটি ছেলের সঙ্গে পরিচয় হয় মেয়েটির। সেই বাংলাদেশে নাবালিকার মায়ের কাছে খবর পৌঁছে দেয়।
মেয়ের খবর পেয়েই তাকে ফিরিয়ে আনতে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন মা। তার আগে মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর চলতি বছর ১৬ জানুয়ারি ডাকার কাছে মীরপুর পুলিশ স্টেশনে এফআইআর দায়ের করেছিল নাবালিকার পরিবার। এরমধ্যে মেয়ের খবর পেয়েই বেআইনি ভাবে সীমান্ত টপকে পাঞ্জিপাড়ায় হাজির হন ওই মহিলা। মেয়েকে উদ্ধার করে বাংলাদেশ ফিরে যাওয়ার চেষ্টায় ছিলেন তিনি। কিন্তু বৈধ কাগজপত্র না থাকায় সমস্যায় পড়ে যান। বুধবার তাঁদের সীমান্ত পার করে দিল বিএসএফ।
বিএসএফ-এর ৯৯ ব্যাটেনিয়নের কমান্ডিং অফিসার শ্রী রবি কান্ত জানান, ভারাত-বাংলাদেশ সীমান্তে বেআইনি পাচার বন্ধ করতে বদ্ধ পরিকর বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স। যেকোন মূল্যে মহিলা ও নাবালিকা পাচারের মত ঘটনা তারা আটকাবেন বলেও জানান তিনি।