scorecardresearch
 

মতপার্থক্য আগেও ছিল, ফের দুই শিবিরে মুকুল-অর্জুন, কী অবস্থা ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের?

রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে তৃণমূলে থাকাকালিনও পারস্পরিক সম্পর্ক খুব একটা ভাল ছিল না মুকুল রায় (Mukul Roy) ও অর্জুন সিং-এর (Arjun Singh)। পরবর্তী সময়ে অবশ্য দুজনেই বিজেপিতে যান। এই দুই হেভিওয়েট নেতা বিজেপিতে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে শক্তিশালী হতে শুরু করে গেরুয়া শিবির।

Advertisement
অর্জুন সিং ও মুকুল রায় (বামদিক থেকে) অর্জুন সিং ও মুকুল রায় (বামদিক থেকে)
হাইলাইটস
  • মুকুল তৃণমূলে ফেরার পরেই 'বেসুরো' অনেকে
  • পালটা মুকুলের সমালোচনায় অর্জুন
  • নজরে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের রাজনীতি

সম্প্রতি বিজেপি থেকে তৃণমূলে (TMC) 'ঘর ওয়াপসি' হয়েছে মুকুল রায়ের। মুকুলের পথ ধরে আরও অনেকেই তৃণমূলে ফিরতে পারেন, রয়েছে এমন জল্পনাও। অন্যদিকে আবার মুকুল তৃণমূলে ফেরায় তাঁর সমালোচনায় সরব হয়েছেন বিজেপির (BJP) অনেক নেতাই। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। তবে অর্জুন সমালোচনা করলেও তাঁর আত্মীয় সুনীল সিংকে অবশ্য মুকুল রায়ের প্রশংসাই করতে শোনা গিয়েছে। এক্ষেত্রে উদ্ভূত সামগ্রিক পরিস্থিতিকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের রাজনীতিতে। 

রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে তৃণমূলে থাকাকালিনও পারস্পরিক সম্পর্ক খুব একটা ভাল ছিল না মুকুল রায় (Mukul Roy) ও অর্জুন সিং-এর (Arjun Singh)। পরবর্তী সময়ে অবশ্য দুজনেই বিজেপিতে যান। এই দুই হেভিওয়েট নেতা বিজেপিতে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে শক্তিশালী হতে শুরু করে গেরুয়া শিবির। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে ব্যারাকপুর আসনে জয়ী হন অর্জুন। তারপর শিল্পাঞ্চলের আরও অনেকেই তৃণমূল ছেড়ে যোগ দেন বিজেপিতে। এমনকী ভোটের আগে ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীও পদ্ম শিবিরে নাম লেখান। 

নির্বাচনের আগে একটা সময় পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায়, যা দেখে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ মনে করেছিলেন হয়ত ব্যারাকপুর (Barrackpore) লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ৭টি বিধানসভা আসনেই জয় পাবে বিজেপি। কিন্তু ভোটের ফলাফলে দেখা যায় তেমনটা হয়নি। ব্যারাকপুর লোকসভার অন্তর্গত শুধুমাত্র ভাটপাড়া আসনেই জয় পেয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। ওই আসনে জয়ী হন অর্জুনের পুত্র পবন সিং। বাকি ব্যারাকপুর, নোয়াপাড়া, আমডাঙা, জগদ্দল, নৈহাটি ও বীজপুর আসনে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থীরা। 

রাজনৈতিকমহলের একাংশ মনে করছে মোটামুটি বিধানসভা ভোটের পর থেকেই ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে কমতে শুরু করে বিজেপির ক্ষমতা। আর তারমাঝে সপুত্র মুকুল রায়ের তৃণমূলে যোগদান বিজেপিকে এক ঝটকায় আরও বেশকিছুটা দুর্বল করে দিল ওই এলাকায়। এদিকে আবার শোনা যাচ্ছে মুকুল তৃণমূলে যাওয়ার পর বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলায় তাঁর ঘনিষ্ঠ আরও বেশকিছু নেতাও 'বেসুরো' গাইতে শুরু করেছেন। এই পরিস্থিতিতে এলাকায় উত্তেজনা ছড়াতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ। আর সেইদিক থেকে দেখতে গেলে মুকুল রায়ের 'ঘরে ফেরা'র পর ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের আগামিদিনের রাজনীতি বারেবারেই শিরোনামে উঠে আসতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহালমহল। 

Advertisement


 

Advertisement