scorecardresearch
 

সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ চাইতে ডাকতে পারেন রাজ্যপাল, TMC নিয়ে বিস্ফোরক সৌমিত্র

বিজেপি (BJP) সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Soumitra Khan)-র মন্তব্যকে ঘিরে আলোড়ন তৈরি হয়েছে। তিনি দাবি করেছেন, রাজ্য সরকার (State Government)-এর সংখ্যাগরিষ্ঠতা (Majority) আছে কিনা, তা প্রমাণ করতে খুব শিগগিরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)-কে ডাকতে পারেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। এর আগে তিনি দাবি করেছিলেন, তৃণমূলের অনেক মন্ত্রী বিজেপিতে আসতে চলেছেন।

Advertisement
সৌমিত্র খাঁর দাবি ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ছবি সৌজন্য: ফেসবুক সৌমিত্র খাঁর দাবি ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ছবি সৌজন্য: ফেসবুক
হাইলাইটস
  • সৌমিত্র খাঁর মন্তব্যকে ঘিরে আলোড়ন
  • সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে রাজ্যপাল ডাকতে পারেন মুখ্যমন্ত্রীকে
  • একমাস পরে তৃণমূলের অস্তিত্ব নিয়ে সংকট তৈরি হবে

বিজেপি (BJP) সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Soumitra Khan)-র মন্তব্যকে ঘিরে আলোড়ন তৈরি হয়েছে। তিনি দাবি করেছেন, রাজ্য সরকার (State Government)-এর সংখ্যাগরিষ্ঠতা (Majority) আছে কিনা, তা প্রমাণ করতে খুব শিগগিরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)-কে ডাকতে পারেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। এর আগে তিনি দাবি করেছিলেন, তৃণমূলের অনেক মন্ত্রী বিজেপিতে আসতে চলেছেন।

বিজেপি ৮ ডিসেম্বর উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক দিয়েছে। তারই প্রস্তুতি হিসেবে তিনি জলপাইগুড়ি জেলায় বৈঠক করেন তিনি। বিজেপি-র যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ দাবি, একমাস পরে তৃণমূলের অস্তিত্ব নিয়ে সংকট তৈরি হবে। সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে রাজ্যপাল ডাকতে পারেন মুখ্যমন্ত্রীকে।

দিন কয়েক আগে সৌমিত্র খাঁ দাবি করেছিলেন, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, গৌতম দেব, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ-সহ একদল মন্ত্রী বিজেপির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলছেন। তাঁরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করবেন। তৃণমূলের ৫৮ জন বিধায়ক সেই তালিকায় রয়েছেন।

সৌমিত্র খাঁ এর আগে ছিলেন তৃণমূলে। তিনি ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের সময় তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। কয়েক দিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক করে জানিয়েছিলেন, কে কার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, তিনি সে কথা জানান। সব দিকে নজর রয়েছে তাঁর। 

গত কয়েক দিনের ঘটনা প্রবাহ তৃণমূলকে নিঃসন্দেহে চাপে রেখেছে। রাজ্যের মন্ত্রী, তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিসভার পদ ছেড়ে দিয়েছেন। তার আগে তিনি তিনি হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশনার্স, হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ ছেড়েছিলেন। তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী দল ছেড়ে যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে।

বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবি করেছিলন এক মাস পর তৃণমূল বলে কিছু থাকবে না। তিনি বলেছিলেন, "মুখ্যমন্ত্রী এখন প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। নির্বাচনের আগে সব প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। কল্পতরু হয়ে উঠছেন। ১০ বছর আগে তা করলে আজ এই দুরবস্থা হত না। সবাই পার্টি ছেড়ে পালিয়ে যেত না। যে পার্টির এমপি ছেড়ে চলে যায়, এমএলএ চলে যায় চলে যায়, সেই পাটির কিছু আছে নাকি! এক মাসের পরে দেখবেন পার্টি বলে কিছু থাকবে না। অনেকে আছেন, আমরা বলছিলাম জয়েন করবে, এখন দেখুন না।"

Advertisement

তিনি আরও বলেছিছেন, "মাসখানেকের মধ্যে আরও অনেক ঘটনা ঘটবে। তৃণমূল সরকার ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টে পুরো ফেল। তবে পার্টির যে ডিজাস্টার শুরু হয়েছে, তা নিয়ে দিদিমণি এখন খুব ব্যস্ত রয়েছেন। এই ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের মিটিং এখন নিয়মিত হবে। সপ্তাহে সপ্তাহে হবে। দিনে দিনে হতে পারে। দফতরগুলো খালি হাতে রেখেছেন খালি পার্টিটা নিজের হাতে নেই!"

Advertisement