একুশের নির্বাচন ঘিরে বাংলার শাসক-বিরোধী শিবিরে শুরু হয়েছে উত্থান-পতন। শুভেন্দু অধিকারীর পর লক্ষ্মীরতণ শুক্লর পদত্যাগ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না দিলীপ ঘোষ। পূর্ব বর্ধমানের একটি সভা থেকে তৃণমূল সুপ্রিমোকে রাবণের সঙ্গেও তুলনা করেন তিনি।
মঙ্গলবার বর্ধমানের একটি সভায় অংশগ্রহণ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এছাড়াও ছিলেন বর্ধমান দুর্গাপুরের সাংসদ এস এস আহলুওয়ালিয়া, বর্ধমান পূর্বের সাংসদ তথা সদ্য তৃণমূল ত্যাগী নেতা সুনীল মণ্ডল, বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার, রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী সহ-আরও অনেক বিজেপি নেতৃবৃন্দ।
লোকসভা নির্বাচন থেকেই বিজেপির পালে হাওয়া লেগেছে। সেই সূত্র ধরেই বঙ্গ জয়ের আশা দেখছেন নেতারা। তৃণমূল দলের অন্দরে ক্ষোভের জেরে অনেকেই পদ্মমুখী হয়েছেন ইতিমধ্যেই। সাম্প্রতিক সেই প্রসঙ্গ টেনে দিলীপ ঘোষ বলেন, "যত দিন চলে আসছে পার্টি ভাঙছে। ভয় পাচ্ছেন দিদি। রাজ্যের একজন মন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লা বাংলা ক্রিকেট দলের প্রাক্তন ক্যাপ্টেন ছিলেন। হাওড়া জেলা সভাপতি ছিলেন, তিনিও পদত্যাগ করেছেন। দিদির উইকেট পড়া সবে শুরু হয়েছে।"
এদিনের মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, 'রামায়ণে যেমন লঙ্কার যুদ্ধে রাম লক্ষণ একটা একটা করে রাবণের ছেলেদের মারছে রাবণ প্রাসাদে বসে আফসোস করছে, সেরকম হাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দিদিও সকাল থেকে ফোন এলেই চিন্তিত হয়ে পড়েন। শুভেন্দু পদত্যাগ করেছে। লক্ষ্মী রতন পদত্যাগ করে দিয়েছেন। রাজীব পদত্যাগ করতে পারে। কে তৃণমূলে আছে তা বোঝা মুশকিল। দিদি এখন নেতা কর্মীদের ফোন পেয়েই আগে জানতে চায় দলে আছে না বিজেপিতে চলে গেছে। আর কাউকে বিশ্বাস করতে পারছেন না দিদি। এমনকি নিজের হাত পা কেও বিশ্বাস করতে পারছেন না।"